২০ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মুর্শিদাবাদে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা 

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, শুক্রবার
  • / 7

জিশান আলি মিঞা, ডোমকল: রাজ্যের বিভিন্ন  জেলার পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলাতেও রোজ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মশাবাহিত রোগ। ডেঙ্গুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা। গত কয়েক দিনে, বিশেষ করে সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা হু-হু করে বাড়ছে। স্বভাবতই উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর।

 

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১,০৭৭। আগস্টের ৩১ তারিখ পর্যন্ত সংখ্যাটা ছিল ৫০০। অর্থাৎ গত ১৫ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচশোরও বেশি। ডেঙ্গুর পাশাপাশি বাড়ছে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যাও। লালগোলা, ভগবানগোলা-১ ব্লক, বহরমপুর পুরসভা, হরিহরপাড়া, নওদা, নবগ্রাম ব্লকে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি। ভিনরাজ্য থেকে ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের দেহেও ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার জীবাণু মিলছে।

 

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হলে আক্রান্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের অন্যান্য লোকেদের ও প্রতিবেশীদের রক্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে। তাছাড়া পতঙ্গবাহিত রোগ প্রতিরোধ কর্মী বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করছেন।

 

জ্বর-সহ অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিলে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখা, জল জমতে না দেওয়ার পরামর্শও দিচ্ছেন তারা। পাশাপাশি মশার লার্ভানাশক রাসায়নিক স্প্রে করছেন পতঙ্গবাহিত রোগ প্রতিরোধ কর্মীরা। মশারি টাঙিয়ে ঘুমানোর পরামর্শও দিচ্ছেন তারা।

 

জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. সন্দীপ সান্যাল বলেন, পতঙ্গবাহিত রোগ প্রতিরোধে জেলা জুড়ে তৎপরতা চলছে। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি পতঙ্গবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রিত হবে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মুর্শিদাবাদে লাফিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা 

আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, শুক্রবার

জিশান আলি মিঞা, ডোমকল: রাজ্যের বিভিন্ন  জেলার পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলাতেও রোজ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মশাবাহিত রোগ। ডেঙ্গুর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা। গত কয়েক দিনে, বিশেষ করে সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা হু-হু করে বাড়ছে। স্বভাবতই উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য দফতর।

 

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১,০৭৭। আগস্টের ৩১ তারিখ পর্যন্ত সংখ্যাটা ছিল ৫০০। অর্থাৎ গত ১৫ দিনে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচশোরও বেশি। ডেঙ্গুর পাশাপাশি বাড়ছে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যাও। লালগোলা, ভগবানগোলা-১ ব্লক, বহরমপুর পুরসভা, হরিহরপাড়া, নওদা, নবগ্রাম ব্লকে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি। ভিনরাজ্য থেকে ঘরে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের দেহেও ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার জীবাণু মিলছে।

 

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হলে আক্রান্ত ব্যক্তি ও তাদের পরিবারের অন্যান্য লোকেদের ও প্রতিবেশীদের রক্ত পরীক্ষা করা হচ্ছে। তাছাড়া পতঙ্গবাহিত রোগ প্রতিরোধ কর্মী বাড়ি বাড়ি গিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন করছেন।

 

জ্বর-সহ অন্যান্য উপসর্গ দেখা দিলে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখা, জল জমতে না দেওয়ার পরামর্শও দিচ্ছেন তারা। পাশাপাশি মশার লার্ভানাশক রাসায়নিক স্প্রে করছেন পতঙ্গবাহিত রোগ প্রতিরোধ কর্মীরা। মশারি টাঙিয়ে ঘুমানোর পরামর্শও দিচ্ছেন তারা।

 

জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. সন্দীপ সান্যাল বলেন, পতঙ্গবাহিত রোগ প্রতিরোধে জেলা জুড়ে তৎপরতা চলছে। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি পতঙ্গবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রিত হবে।