উত্তরবঙ্গে শিল্পপতি মোস্তাক হোসেনের অর্থদানে গড়ে ওঠা কচিকাঁচা মিশনের সাফল্য

- আপডেট : ৩ জুন ২০২২, শুক্রবার
- / 3
সুবিদ আবদুল্লাহ্ : মাধ্যমিকে পুরনো সাফল্য ধরে রাখল উত্তরবঙ্গের কচিকাঁচা মিশন। মালদা জেলার মহব্বতপুর ও যদুপুর শাখার মোট পরীক্ষার্থীর ৬০ শতাংশের নম্বর এবার ৯৫ শতাংশের ওপরে। যাদের প্রত্যেকে ভর্তি হয়েছিল নিম্নমেধার পড়ুয়া হিসেবে।
জানা গেছে, বাঙালি মুসলিমের স্ব-উদ্যোগের শিক্ষা আন্দোলনের ঢেউ প্রথম উত্তরবঙ্গে আছড়ে পড়েছিল কচিকাঁচা মিশন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে। গত তিরিশ বছর ধরে সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে কচিকাঁচা মিশন।
ডিরেক্টর জিয়াউল হক জানাচ্ছেন, বোর্ড RANK করল কী না সেটা দেখা হয় না। দেখা হয় শিক্ষার সার্বিক সাফল্য। মিশনের সার্বিক সাফল্যে আমরা খুশি। তিনি জানান, এই সাফল্য সম্ভব হচ্ছে দানবীর শিল্পপতি মোস্তাক হোসেনের জন্য। মিশন গড়ে ওঠার নেপথ্যে তাঁর অবদান সবচেয়ে বেশি। অবহায় গরিব পড়ুয়াদের কাছে মোস্তাক হোসেন আলাদীনের প্রদীপের মত।
মিশনের সম্পাদক জামাল সেখ জানান, কোভিড কাঁটায় বাচ্চাদের পড়াশোনায় অপুরণীয় ক্ষতি হয়েছে। তারপরেও মিশনের এই সাফল্য সত্যি অভাবনীয়।
মিশনের মহব্বপুর শাখার সুপার সাওকাত আলি জানাচ্ছেন, আমরা প্রথম থেকেই নিম্নমেধার বাচ্চাদের ভর্তি করাই। এটাই একমাত্র লক্ষ্য আমাদের। উচ্চ মেধার জন্য অনেক মিশন রয়েছে। নিম্ন বা মধ্যমেধার ছাত্রছাত্রীদের জন্য কচিকাঁচা মিশন আছে। নিম্নমেধাকে ঘষেমেজে ৯৬ শতাংশ নম্বর তুলে আনার নেপথ্যে থাকে শিক্ষক শিক্ষিকা ও পরিচালন কমিটির কঠোর শ্রম। সেই কাজ আমরা তিরিশ বছর ধরে করে চলেছি।
মিশনে সেরার তালিকায় এবারও মেয়েরা এগিয়ে। এদের মধ্যে আলিফা পারভিন, নিশা খাতুন, মাসুমা খাতুন, শাবনাম বানু নম্বর পেয়েছে ৯৫ শতাংশের ওপরে। সেই তালিকায় একমাত্র ছাত্র তৌশিফ আকতার।