আলিগড়ে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে মধ্যরাতে বহু মুসলিম যুবককে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ইউপি পুলিশের বিরুদ্ধে

- আপডেট : ২৩ জানুয়ারী ২০২৩, সোমবার
- / 7
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: আলিগড়ের সহিংসতার ঘটনায় মধ্যরাতে বহু মুসলিম যুবককে ঘর থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ যোগীরাজ্যের পুলিশের বিরুদ্ধে। চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত। এর পরেই সেই সংঘর্ষ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার রূপ নেয়। পুলিশ ২৫ জন মুসলিম যুবকের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় এফআইআর দায়ের করেছে। ঘটনার একদিন পরে সারণী সুলতানি অঞ্চল থেকে দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গত ১৬ জানুয়ারি এই এলাকায় দুটি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার জের ধরেই ২১ জানুয়ারি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সূত্রপাত হয়। প্রাক্তন তাজ পয়েন্টের মালিক মেহরাজ (৪০), এবং তার ভাইকে ১৭ জানুয়ারি গ্রেফতার করা হয়। একটি হিন্দু গোষ্ঠী দলের সদস্য অঙ্কিত ভার্শনির অভিযোগের ভিত্তিতে মেহরাজকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মেহরাজের পরিবার জানিয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে কোনওভাবে যুক্ত ছিল না সে। মেহরাজ সেই সময়ে তার নিজের দোকানে কাজ করছিল। মেহরাজের স্ত্রী পারভীন জানিয়েছেন, গন্ডগোলের সময় দুটি দলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল বলে জানি। আমার স্বামী দুটি দলের মধ্যে হওয়া সেই সংঘর্ষ থামাতে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সময় উত্তেজিত কিছু মানুষ ইসলামের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকে। আমরা ভয়ে দরজা বন্ধ করে দিই। এর পর রাতে পুলিশ এসে আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। আমার বাড়ির অন্যান্য পুরুষ সদস্যদেরও থানায় আসতে বাধ্য করে। আমার স্বামী ও আমার দেওরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আমি আমার সন্তানকে নিয়ে একা আছি।
উল্লেখ্য, সারাই সুলতানির স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত ১৬ জানুয়ারি বেশ কয়েকজন মানুষ মদ্যপ অবস্থায় এসে রাতে একটি দোকানে ঢুকে খাবার দিতে বলে। এই নিয়ে দুটি দলের মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে উত্তেজনা তৈরি হয়। ঘটনাটি রণক্ষেত্রের রূপ নেয় যখন বজরং দলের কিছু সদস্য আসরে নামে। শুরু হয় পাথর ছোড়াছুড়ি থেকে উত্তেজক স্লোগান দেওয়া। যা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার রূপ নেয়। দুই ঘণ্টা ধরে একই অবস্থা চলার পর পুলিশ এসে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনে।
আলিগড় পুলিশ দুটি পৃথক মামলা নথিভুক্ত করেছে, একটি অঙ্কিত ভার্শনি এবং অন্যটি দিলীপ ভার্শনির নামে। যে দোকানে হাতাহাতি হয়েছে তার সামনে পুলিশ একটি বাফার জোন তৈরি করেছে।
.