২০ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন জোট সহ্য করা হবে না­ ইরান

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২২, বুধবার
  • / 15

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ­ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ সপ্তাহে ইসরাইল, ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর এবং সৌদি আরব সফর করবেন। দেশের ক্ষমতা গ্রহণের পর এটি তাঁর প্রথম মধ্যপ্রাচ্য সফর। এ সফরে তিনি আমেরিকা, ইসরাইল ও আরব রাষ্ট্রগুলোর সমন্বয়ে নিরাপত্তা জোট গঠন করতে পারেন বলে কানাঘুসো চলছে। এই ইস্যুতে ইরান-ইরসাইল উত্তেজনা চরমে উঠেছে। ইরান ঘোষণা করেছে, এমন কোনও জোট এই অঞ্চলে সহ্য করা হবে না।

 

বিশ্লেষকরা বলছেন, বহুদিন ধরেই একটি যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তির বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে আমেরিকা। এর মূল লক্ষ্য, এই অঞ্চলে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা মোকাবিলায় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সংযুক্ত করা। ইরানের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র নাসের কানানি প্রস্তাবিত পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ইরান এটিকে ‘জাতীয় ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি’ হিসেবে দেখছে। তিনি বলেন, ‘এই অঞ্চলে বিদেশিদের প্রবেশ নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নষ্ট হবে, উত্তেজনা ও বিরোধ বাড়াবে।

 

এ পরিকল্পনা ইসরাইলি প্রযুক্তিকে আরও বেপরোয়া করে তুলবে এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আসন্ন সফরের সময় তা গতিবেগ পেতে পারে।’ তবে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন প্রতিরক্ষা জোট গঠনের আলোচনা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং বেশ কয়েকটি আরব দেশ এর বিরোধিতা করেছে। তবে মার্কিন ও পশ্চিমাপন্থী বহু আরব দেশই ইসরাইলের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছে যাদের নিয়ে বেশ চিন্তিত ইরান। ইরানি মুখপাত্র কানানি বলেন, ‘ইরান বিদেশি উপস্থিতি ছাড়াই আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং সাধারণ স্বার্থ নিশ্চিত করতে চায়।

 

এজন্য অস্ত্র নয়, সংলাপ ও আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর জোর দিতে হবে। মার্কিন- ইসরাইল পরিকল্পনা আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে দুর্বল এবং ইসরাইলের স্বার্থকে সুরক্ষিত করবে।’ তিনি বলেন, ‘তাড়াহুড়ো করে প্রতিরক্ষা জোট গঠন ও অস্ত্র মজুত করা এই অঞ্চলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে না। সাধারণ আঞ্চলিক নিরাপত্তা কেবলই নির্ভর করে আঞ্চলিক দেশগুলোর সহযোগিতার ওপর।’ সম্প্রতি কাতারের দোহায় পরমাণু চুক্তি টেকানোর লক্ষ্যে ইরান-আমেরিকা বৈঠক ব্যর্থ হয়।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন জোট সহ্য করা হবে না­ ইরান

আপডেট : ১৩ জুলাই ২০২২, বুধবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ ­ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ সপ্তাহে ইসরাইল, ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর এবং সৌদি আরব সফর করবেন। দেশের ক্ষমতা গ্রহণের পর এটি তাঁর প্রথম মধ্যপ্রাচ্য সফর। এ সফরে তিনি আমেরিকা, ইসরাইল ও আরব রাষ্ট্রগুলোর সমন্বয়ে নিরাপত্তা জোট গঠন করতে পারেন বলে কানাঘুসো চলছে। এই ইস্যুতে ইরান-ইরসাইল উত্তেজনা চরমে উঠেছে। ইরান ঘোষণা করেছে, এমন কোনও জোট এই অঞ্চলে সহ্য করা হবে না।

 

বিশ্লেষকরা বলছেন, বহুদিন ধরেই একটি যৌথ প্রতিরক্ষা চুক্তির বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে আমেরিকা। এর মূল লক্ষ্য, এই অঞ্চলে ইরানের ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা মোকাবিলায় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সংযুক্ত করা। ইরানের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র নাসের কানানি প্রস্তাবিত পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ইরান এটিকে ‘জাতীয় ও আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি’ হিসেবে দেখছে। তিনি বলেন, ‘এই অঞ্চলে বিদেশিদের প্রবেশ নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নষ্ট হবে, উত্তেজনা ও বিরোধ বাড়াবে।

 

এ পরিকল্পনা ইসরাইলি প্রযুক্তিকে আরও বেপরোয়া করে তুলবে এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আসন্ন সফরের সময় তা গতিবেগ পেতে পারে।’ তবে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন প্রতিরক্ষা জোট গঠনের আলোচনা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এবং বেশ কয়েকটি আরব দেশ এর বিরোধিতা করেছে। তবে মার্কিন ও পশ্চিমাপন্থী বহু আরব দেশই ইসরাইলের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছে যাদের নিয়ে বেশ চিন্তিত ইরান। ইরানি মুখপাত্র কানানি বলেন, ‘ইরান বিদেশি উপস্থিতি ছাড়াই আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং সাধারণ স্বার্থ নিশ্চিত করতে চায়।

 

এজন্য অস্ত্র নয়, সংলাপ ও আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর জোর দিতে হবে। মার্কিন- ইসরাইল পরিকল্পনা আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে দুর্বল এবং ইসরাইলের স্বার্থকে সুরক্ষিত করবে।’ তিনি বলেন, ‘তাড়াহুড়ো করে প্রতিরক্ষা জোট গঠন ও অস্ত্র মজুত করা এই অঞ্চলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে না। সাধারণ আঞ্চলিক নিরাপত্তা কেবলই নির্ভর করে আঞ্চলিক দেশগুলোর সহযোগিতার ওপর।’ সম্প্রতি কাতারের দোহায় পরমাণু চুক্তি টেকানোর লক্ষ্যে ইরান-আমেরিকা বৈঠক ব্যর্থ হয়।