জ্ঞানভাপী মসজিদে তথাকথিত শিবলিঙ্গের কার্বনডেটিং মামলায় রায়দান ১১ অক্টোবর

- আপডেট : ৭ অক্টোবর ২০২২, শুক্রবার
- / 4
পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক; বারাণসীর জ্ঞানভাপী মসজিদের অভ্যন্তরে এবং সেখানে প্রাপ্ত এক তথাকথিত শিবলিঙ্গের কার্বনডেটিং মামলায় শুক্রবার বারাণসী জেলা আদালতের রায় দেওয়ার কথা ছিল।
আদালত এ দিন কোনও রায় দেয়নি। এবার রায়দান হবে আগামী ১১ অক্টোবর। পাঁচ হিন্দু মহিলা আদালতে আবেদন করে বলেছিলেন, জ্ঞানভাপী মসজিদের ওযুখানায় যে তথাকথিত শিবলিঙ্গ পাওয়া গেছে তার অস্তিত্ব জ্ঞানভাপী মসজিদের চেয়েও প্রাচীন।
কার্বনডেটিং পরীক্ষার মাধ্যমে শিবলিঙ্গের বয়স নির্ধারণ করা সম্ভব। তাতেই প্রমাণ হবে যে মসজিদের অস্তিত্বের আগে সেখানে এই শিবলিঙ্গ ছিল। সেই তথাকথিত শিবলিঙ্গটি স্থাপিত ছিল এক ভব্য মন্দিরে।
এই মন্দির ছিল সেখানেই যেখানে আজ জ্ঞানভাপী মসজিদ গড়ে উঠেছে। জেলা আদালত কার্বনডেটিং পরীক্ষা মামলায় হিন্দু ও মুসলিমপক্ষের যুক্তি শুনেছে।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর শুনানি শেষে আদালত তার রায় স্থগিত রাখে। রায়দান হবে ১১ অক্টোবর বেলা ২ টোয়। চলতি বছরের গোড়াতে বারাণসীর এক আদালত হিন্দুপক্ষের এক আবেদনের ভিত্তিতে জ্ঞানভাপী মসজিদের ভেতরে ভিডিয়োগ্রাফির নির্দেশ দেয়।
সেই ভিডিয়োগ্রাফির সময় হিন্দুপক্ষ দাবি করে, মসজিদের ওযুখানায় এক তথাকথিত শিবলিঙ্গ পাওয়া গেছে।
মুসলিমপক্ষ অবশ্য সেই দাবি নস্যাৎ করে বলে ওযুখানায় যা পাওয়া গেছে সেটি হল এক ফোয়ারা এবং এই ফোয়ারা মসজিদের ওযুখানার অংশ।
গত ১২ সেপ্টেম্বর বারাণসীর জেলা আদালত অঞ্জুমান ইন্তেজামিয়া মসজিদ কমিটির একটি আবেদন খারিজ করে দেয়। সেই আবেদনে হিন্দুপক্ষের জ্ঞানভাপী মসজিদ সংক্রান্ত এক দেওয়ানি মামলার আইনি বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল।
১৯৯১ সালের ধর্মীয় স্থান আইনের ভিত্তিতে সেই মামলা খারিজ করার আবেদন জানিয়েছিলন মুসলিমপক্ষ। উক্ত আইনে বলা হয়েছে, ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট দেশে যে ধর্মীয় স্থানগুলি রয়েছে তার স্থিতাবস্থা বজায় থাকবে। তার কোনও ধর্মীয় চরিত্র পরিবর্তন করা যাবে না। তাই হিন্দুপক্ষের মামলা চলতে পারে না।
কিন্তু আদালত মুসলিমপক্ষের আপত্তি উড়িয়ে হিন্দুপক্ষকে মামলা চালানোর অনুমতি দেয়। এর পরেই কার্বনডেটিং-এর অনুমতি চেয়ে আবেদন করে হিন্দুপক্ষ।
কার্বনডেটিং পরীক্ষার মাধ্যমে কোনও জৈব পদার্থের প্রকৃত বয়স নিরুপণ করা সম্ভব, যারা একসময় বেঁচে ছিল। গাছপালা তাদের কার্বন সংগ্রহ করে ফটোসিন্থেসিসের মাধ্যমে। জীবজন্তু মূলত কার্বন সংগ্রহ করে তাদের খাদ্য থেকে।
এই কার্বনের কোনও ক্ষয় নেই। গাছপালা বা জীবজন্তুর মৃত্যুর পরেও নয়। সেই কার্বন পরীক্ষার পর বয়স নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শিবলিঙ্গের বয়স নিরুপণ করা সম্ভব নয়। কারণ পাথর কার্বন সংগ্রহ করতে পারে না।