২০ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সমুদ্রের ঢেউ ভাসিয়ে নিয়ে গেল বাবা ও সন্তানকে! দেখুন সেই ভয়াবহ ভিডিও

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২২, বৃহস্পতিবার
  • / 6

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে বেড়াতে যাওয়ায় কাল হল এক পরিবারের। জলের ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে গেলো বাবা ও সন্তানরা।

সংবাদ মাধ্যম সংস্থা সূত্রে খবর,ওমানে বেড়াতে গিয়ে সমুদ্রের জলের ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে গিয়েছে ভারতের মহারাষ্ট্রের এক ব্যক্তি ও তার দুই সন্তান।

 

উল্লেখ্য,এই ঘটনায় বাবা ও ছেলের মরদেহ উদ্ধার করা গেলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছে ৯ বছরের মেয়ে শ্রুতি।
মহরাষ্ট্রের শশীকান্ত দুবাইয়ের বাসিন্দা ছিলেন। সেখানকার একটি নামীদামি সংস্থায় সে সেলস ম্যানেজারে হিসেবে কাজ করতেন।

 

সম্প্রতি স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ তারা সপরিবারে ওমানে বেড়াতে গিয়েছিলেন। তারপরই দুর্ঘটনাটি ঘটে। গত বুধবার সমুদ্রের কাছে শশীকান্তর ছয় বছরের ছেলে শ্রেয়াস এবং নয় বছরের মেয়ে শ্রুতি খেলা করছিল তারপর হঠাৎ করে সমুদ্রের উঁচু ঢেউ তীরে আছড়ে পড়ে। আর সেই ঢেউ এর তোড়ে শ্রেয়াস ও শ্রুতি জলে ভেসে যায়। সেটি দেখে শশীকান্ত তাদের বাঁচাতে জলে ঝাঁপ দেন। কিন্তু ঢেউয়ের তীব্রতা তাকেও সমুদ্রে টেনে নিয়ে যায়।

সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকারী দলকে  খবর দেওয়া হলে, উদ্ধারকারী দল শশীকান্ত ও তার ছয় বছরের ছেলে শ্রেয়াসের মরদেহ উদ্ধার করলেও এখনও মেয়ে শ্রুতিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারপর মহারাষ্ট্রে বসবাসকারী শশীকান্তর পরিবার পরিজনদের খবর দেওয়া হয়।

সূত্রের খবর, তারা ইতিমধ্যেই ওমানের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে আসে পরিবার – পরিজনদের মধ্যে। তবে এমন ঘটনা যে ঘটতে পারে তা এলাকার মানুষ বিশ্বাস করতে পারছেন না।

ওমান থেকে শশীকান্ত ও তার ৬ বছরের সন্তানের মৃতদেহ ভারতে ফিরিয়ে আনার আবেদন জানালে, মৃতর পরিবারকে যাবতীয় সাহায্যে করা হবে বলে আশ্বাস দেয় বিদেশমন্ত্রক।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

সমুদ্রের ঢেউ ভাসিয়ে নিয়ে গেল বাবা ও সন্তানকে! দেখুন সেই ভয়াবহ ভিডিও

আপডেট : ১৪ জুলাই ২০২২, বৃহস্পতিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ওমানে বেড়াতে যাওয়ায় কাল হল এক পরিবারের। জলের ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে গেলো বাবা ও সন্তানরা।

সংবাদ মাধ্যম সংস্থা সূত্রে খবর,ওমানে বেড়াতে গিয়ে সমুদ্রের জলের ঢেউয়ের তোড়ে ভেসে গিয়েছে ভারতের মহারাষ্ট্রের এক ব্যক্তি ও তার দুই সন্তান।

 

উল্লেখ্য,এই ঘটনায় বাবা ও ছেলের মরদেহ উদ্ধার করা গেলেও এখনও নিখোঁজ রয়েছে ৯ বছরের মেয়ে শ্রুতি।
মহরাষ্ট্রের শশীকান্ত দুবাইয়ের বাসিন্দা ছিলেন। সেখানকার একটি নামীদামি সংস্থায় সে সেলস ম্যানেজারে হিসেবে কাজ করতেন।

 

সম্প্রতি স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ তারা সপরিবারে ওমানে বেড়াতে গিয়েছিলেন। তারপরই দুর্ঘটনাটি ঘটে। গত বুধবার সমুদ্রের কাছে শশীকান্তর ছয় বছরের ছেলে শ্রেয়াস এবং নয় বছরের মেয়ে শ্রুতি খেলা করছিল তারপর হঠাৎ করে সমুদ্রের উঁচু ঢেউ তীরে আছড়ে পড়ে। আর সেই ঢেউ এর তোড়ে শ্রেয়াস ও শ্রুতি জলে ভেসে যায়। সেটি দেখে শশীকান্ত তাদের বাঁচাতে জলে ঝাঁপ দেন। কিন্তু ঢেউয়ের তীব্রতা তাকেও সমুদ্রে টেনে নিয়ে যায়।

সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকারী দলকে  খবর দেওয়া হলে, উদ্ধারকারী দল শশীকান্ত ও তার ছয় বছরের ছেলে শ্রেয়াসের মরদেহ উদ্ধার করলেও এখনও মেয়ে শ্রুতিকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারপর মহারাষ্ট্রে বসবাসকারী শশীকান্তর পরিবার পরিজনদের খবর দেওয়া হয়।

সূত্রের খবর, তারা ইতিমধ্যেই ওমানের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে আসে পরিবার – পরিজনদের মধ্যে। তবে এমন ঘটনা যে ঘটতে পারে তা এলাকার মানুষ বিশ্বাস করতে পারছেন না।

ওমান থেকে শশীকান্ত ও তার ৬ বছরের সন্তানের মৃতদেহ ভারতে ফিরিয়ে আনার আবেদন জানালে, মৃতর পরিবারকে যাবতীয় সাহায্যে করা হবে বলে আশ্বাস দেয় বিদেশমন্ত্রক।