এবার আলিয়ার ক্যাম্পাস ইন্টারভিউয়ে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৭৭ শতাংশের চাকরি

- আপডেট : ৩ অগাস্ট ২০২৩, বৃহস্পতিবার
- / 13
সেখ কুতুবউদ্দিন: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো পূর্ণতা পেয়েছিল। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও এখন নামিদামী সংস্থায় চাকরিতে নজর কেড়েছে। চলতি শিক্ষাবর্ষে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরের ৯৫টি সংস্থা ক্যাম্পাস ইন্টারভিউয়ে আসে।
সংস্থাগুলির মধ্যে রয়েছে, সাসকেন, টিসিএস, মাইনট্রি, জিফো, আরডিসি কনক্রিট, পিনাকেল, হিন্দুস্থান কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড প্রভৃতি। ক্যাম্পাসিংয়ে অংশগ্রহণের জন্য ৩৩৬জন অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে চাকরি পেয়েছে ২৬০ জন। যা শতকরা হারে ৭৭ শতাংশ।
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্লেসমেন্ট আধিকারিক জাকির হোসেন বলেন, বিভিন্ন সংস্থায় মোট ২৬০ জন চাকরিতে অংশগ্রহণ করেন। এর মধ্যে কম্পিউটার সায়েন্সে ৫৮ জন, ইসিতে ৪৭ জন। ইলেকট্রিক্যালে ৪৫ জন। মেকানিক্যালে ১৫, সিভিলে ১৩, বিজ্ঞান বিভাগে ২৮, এমবিএ ৩০ এবং কলা বিভাগে ৬ জন চাকরিতে অংশ গ্রহণ করেছে। এর আগে আরবি বিভাগের অনেক পড়ুয়াকে বহুজাতিক সংস্থায় চাকরিতে অংশগ্রহণ করেছে। এ বছর আলিয়া থেকে যাঁরা চাকরিতে অংশগ্রহণ করেছেন, তাঁদের বেতন বছরে গড়ে সাড়ে ৫ লক্ষ টাকার মতো। এক একজন চাকরী প্রার্থী আবার একইসঙ্গে একাধিক সংস্থায় চাকরি পেয়েছেন বলে জানান তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের জন্য বাড়তি কী সুযোগ রয়েছে, এই প্রসঙ্গে প্লেসমেন্ট অফিসার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগের পড়ুয়াদের জন্য আলাদাভাবে স্কীল ডেভেলাপমেন্ট এবং ক্যম্পাসিং ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। আরবি, থিওলজি, ইসলামিক স্টাডিজ সহ কলা, বিজ্ঞান, ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পড়ুয়াদের জন্য এই ব্যবস্থা রয়েছে। পড়ুয়ারা যাতে বিভিন্ন সংস্থায় অংশগ্রহণ করতে পারে, তার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
অনেকেই কলেজে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা নেট কুয়ালিফাই করেছে। এ বছর ইসলামিক স্টাডিজের ফিরোজ আলম নামে এক পড়ুয়া নেট কুয়ালিফাই করেছে। এই প্রথম ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ থেকে নেট উত্তীর্ণ হয়েছে। এদিকে আলিয়ার এই সাফল্যে খুশি পড়ুয়া ও অধ্যাপকরা। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও অনেক সমস্যা রয়েছে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও উদ্যোগ নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকরা বলেন, গত কয়েক বছরের করোনার ধাক্কা সামলে আলিয়ায় যে এ বার এমন রেকর্ড চাকরি হয়েছে, তা গর্বের বিষয়।
উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে এটি রাজ্য সংখ্যালঘু দফতর পরিচালিত। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ পড়ুয়া সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের। তবে এই প্রতিষ্ঠানে সব শ্রেণির পড়ুয়াদের পড়াশোনার সুবিধা রয়েছে। এখন বিশ্ববিদ্যালয় ন্যাকে অন্তর্ভুক্ত না থাকলেও প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পুরোপুরি আর্থিক সহযোগিতা থাকলেও ন্যাকে অন্তর্ভুক্ত হলে আলিয়া কেন্দ্রীয় বরাদ্দও পাবে। এতে পড়ুয়াদের উৎকর্ষ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছে অধ্যাপক মহল।