উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়নগর : বারুইপুরের চম্পাহাটি পঞ্চায়েতের কয়েক হাজার ভুয়ো ভোটারের নাম এবার ভোটার তালিকায় জায়গা পায়,আর তা নিয়েই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।মালদহ, মুর্শিদাবাদ, শিলিগুড়ির বাসিন্দার নাম পাওয়া গেল এখানকার ভোটার তালিকায়।আর তা জানাজানি হতেই শুরু হয়েছে তৃণমূল ও বিজেপির পরস্পরের মধ্যে দোষারোপ ঘটনা।মহারাষ্ট্র ও দিল্লির ভোটে অস্বাভাবিক হারে ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে তথ্য সহ অভিযোগ এনেছে বিজেপি বিরোধীরা। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিযোগ করেছেন প্রকৃতদের বাদ দিয়ে বহিরাগতদের নাম ভোটার তালিকায় ঢোকানো হচ্ছে।আর সেই আবহেই এবার বারুইপুরের চম্পাহাটি পঞ্চায়েতের ভোটার তালিকা স্কুটিনি করতে গিয়ে বেরিয়ে এসেছে ভুতুড়ে কাণ্ড। মালদহ,মুর্শিদাবাদ, শিলিগুড়ির লোকজনের নাম উঠে এসেছে এখানকার ভোটার তালিকায়।এমনকি চাঞ্চল্যকর ভাবে একই ফোন নম্বর যুক্ত আছে চার-পাঁচজনের নামে,যা খোঁজ করতে গিয়ে বিস্মিত হয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে সদস্যরা।গত লোকসভা ভোটে এই পঞ্চায়েত এলাকার ভোটার সংখ্যা ছিল ১৮ হাজার ২০০। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে নতুন ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়।তাতে দেখা গিয়েছে ভোটার বেড়ে হয়েগিয়েছে ২২ হাজার ৪০০। এরপর স্কুটিনি করতে গিয়ে ভুতুড়ে ব্যাপার তৈরি হয়েছে।এই গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২টি সংসদের মধ্যে কোনও বুথে বেড়ে গিয়েছে ২০০ ভোটার। আবার কোনও বুথে বেড়েছে ৩০০ ভোটার।ভোটার তালিকা ধরে স্কুটিনি করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে এই পঞ্চায়েতের এলাকার বিভিন্ন বুথে গত লোকসভা ভোটে ভোটারের সংখ্যা থেকে এবার তা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গিয়েছে।যাঁদের এলাকায় কোনও অস্তিত্ব নেই।এদের কারুর বয়স ৬৬ বছর, কারুর বা ৬০ বছর বয়স।সনকা মাঝি বলে এক ভোটারের ফোন নম্বর খুঁজে পাওয়া যায়।তাতে ফোন করলে মালদার এক যুবক ফোন ধরেছে।সে সাইবার কাফে চালায়।সে বলে টাকার বিনিময়ে এই ভোটার তালিকায় নাম তোলার কাজ করা হয়েছে।এ ব্যাপারে চম্পাহাটি পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের অসিত বরণ মন্ডলের অভিযোগ, বিজেপি চক্রান্ত করে এই ভুয়ো ভোটারদের নাম তালিকায় তুলেছে। যদি ও বিজেপি তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে।এব্যাপারে বিজেপির যাদবপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি মনোরঞ্জন জোতদার বলেন, তৃণমূল ও প্রশাসন মিলে এই কাজ করেছে।এর সাথে তাদের দল কোনো ভাবে জড়িত নয়।