সুখোই বিমানে চিন সীমান্তে নজরদারিতে এবার ভারতীয় সেনার তিন মহিলা পাইলট

- আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, মঙ্গলবার
- / 11
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: উত্তরে পাকিস্তান, উত্তর-পূর্বে চিন, ভারতের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিবেশী দেশের দিকে সদাসর্বদা কড়া নজর রেখেছে ভারতীয় সেনা। চিনা আগ্রাসন রুখতে সবরকমভাবে প্রস্তুত হচ্ছে ভারত।
এবার চিন সীমান্তে নজরদারিতে কড়া পাহারায় ভারতীয় সেনার নারীবাহিনী। অতন্দ্রপ্রহরীর মতো সেই চোখ আকাশপথ থেকে নজরদারিতে নজর রাখবে। এবারে সুখোই-৩০ বিমানের দায়িত্বভার থাকছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক নারীর হাতে। আর তাকে সহযোগিতা করার জন্য থাকছেন ভারতীয় সেনার আরও দুই নারী।
সুখোই যুদ্ধবিমান ওড়াবেন ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তেজস্বী ও তাঁর দুই সহকর্মী। মহড়া শেষ হয়েছে। অভিজ্ঞতা নিয়ে অসমের তেজপুরের বিমানঘাঁটিতে নেমেছেন তিনজন। মঙ্গলবার বিমানের সমস্ত দিক খতিয়ে দেখেছেন তারা।
মহড়ার পরেই তেজস্বী জানিয়ে দিয়েছেন, পূর্ব ভারতে আকাশপথে চিনের উপর নজরদারি করা তাদের কাছে স্বপ্ন। ভারতীয় সেনার বিমান চালকরা যেকোনো হামলার জন্য প্রস্তুত আছে।
চিন সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করতে বরাবরই তৎপর ভারত। আন্তর্জাতিক এই সীমান্তে ক্রমাগত অনুপ্রবেশ চলতে থাকায় সেখানে নজরদারি বাড়ানোর উপর জোর দিয়েছে দিল্লি। গালওয়ানে সংঘর্ষের পর থেকেই চিন সীমান্তে নজরদারিতে আরও সতর্কতা বাড়িয়েছে ভারত।
সদ্যই গোগরা স্প্রিং এলাকা থেকে সরানো হয়েছে দু’দেশের বাড়তি বাহিনীকে। কিন্তু কূটনৈতিক দিক থেকে অতি সতর্ক ভারত। ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তেজস্বী এবং তাঁর দুই সঙ্গীকে দিয়েই নারীশক্তিকে আকাশপথে যুদ্ধে নামানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। আর সেই যুদ্ধে একদম আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে প্রস্তুত তারা।
তেজস্বী জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ খুবই কঠিন। নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলকেই এই কঠিন প্রশিক্ষণের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। তবে প্রতিটি মুহূর্তেই সব সময় কড়া চ্যালেঞ্জে সঙ্গে মোকাবিলা করতে হয়। সেই চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত ভারতীয় সেনা। পূর্ব সীমান্তে যে কোনও প্রতিদ্বন্দ্বীকে রুখতে তৈরি আছে ভারতীয় সেনা।
অপর ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট শ্রেয় বাজপেয়ী জানিয়েছেন, যুদ্ধবিমান নিয়ে ওড়া একদিকে অভিজ্ঞতা ও অপরদিকে চ্যালেঞ্জের। ভারতীয় সেনা তা লক্ষ্য পূরণে প্রস্তুত। উত্তর-পূর্ব সীমান্তে আবহাওয়া একটু কঠিন হলেও যেকোনও প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে সব সময় টক্কর দিতে সব সময় প্রস্তুত থাকে ভারতীয় সেনা।
উল্লেখ্য, চিন সীমান্তের নজরদারি নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত সরকার। লাদাখ থেকে অরুণাচল প্রদেশ, দীর্ঘ এই চিন সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে চায় মোদি সরকার। সেজন্য সীমান্ত সংলগ্ন পরিকাঠামো উন্নয়নে নজর দিয়েছে। উত্তরাখণ্ডে রাস্তা চওড়া করা হচ্ছে। লাদাখেও তৈরি হয়েছে অনেক নতুন সেতু, সড়ক। ডোকলামে চিনের গতিবিধি বাড়ার পরেই হাসিমারায় রাফাল যুদ্ধবিমান এসেছে। উত্তর–পূর্বে আরও কয়েকটি বিমানবন্দর সম্প্রসারণেও নজর দিয়েছে দিল্লি।