BREAKING:
Breaking: পাকিস্তানে যাত্রীবাহী ট্রেনে হামলা, সন্ত্রাসবাদীদের হাতে বন্দি ১০০ যাত্রী জঞ্জালে ভর্তি, অকেজো টয়লেট: দিল্লিগামী বিমান বাতিল নিয়ে বিবৃতি সংস্থার মন্দিরের পাশে মিলল শিশুর গলা কাটা দেহ, ভয়ঙ্কর ‘নরবলি’ গুজরাটে! প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ইডির তল্লাশি, ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’ দাবি বাঘেলের তৃতীয় সন্তান-এর জন্ম দিলে মিলবে ৫০হাজার! বহুতল থেকে ঝাঁপ জিএসটি আধিকারিকের, হতাশা থেকে আত্মহত্যা দাবি পুলিশের গণধর্ষণে মুসলিম যোগ খোঁজার চেষ্টা, সামাজিক মাধ্যমজুড়ে ঘৃণার প্রচার হিন্দুত্ববাদীদের দেশজুড়ে ভোটার তালিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে: সংসদে সরব রাহুল সংসদের অধিবেশন চলাকালীন অসুস্থ সৌগত রায় শুধু রমযান নয়, কখনোই অনুমতি দেওয়া হবে না: ফ্যাশন শো নিয়ে আবদুল্লাহ

তিব্বতে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ বাঁধ তৈরি করবে চিন!

রিপোর্টার:
  • শেষ আপডেট: শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২৪

বেজিং: বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ বাঁধ হতে পারে, তিব্বতে এমন একটি নির্মাণ কাজের অনুমোদন দিয়েছে চিন। তিব্বত মালভূমির পূর্ব পাশে এই উচ্চাভিলাষি প্রকল্পের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে নিম্নপ্রবাহে ভারত ও বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। চিনের পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কর্পোরেশনের ২০২০ সালের হিসাব অনুযায়ী, ইয়ারলুং জাংপো নদীর নিম্ন প্রবাহে এই বাঁধ তৈরি হবে। আর এ প্রকল্প থেকে বার্ষিক ৩০ হাজার কোটি কিলোওয়াট-ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।

বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প হল চিনের মধ্যাঞ্চলীয় থ্রি গর্জেস বাঁধ। এই প্রকল্পের পরিকল্পিত ক্ষমতা বার্ষিক ৮৮২০ কিলোওয়া-ঘণ্টা। তিব্বতের প্রকল্পটি এর তিনগুণেরও বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে নকশা করা হবে। এই প্রকল্পটি চিনের শূন্য কার্বন লক্ষ্য পূরণে বড় ধরনের ভূমিকা রাখবে। তিব্বতে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রও প্রসারিত হবে।

Read More: বাংলাদেশের সচিবালয়ে বিধ্বংসী আগুন, পুড়ে ছাই দুর্নীতির ফাইল

ইয়ারলুং জাংপো নদীর একটি অংশ ৫০ কিলোমিটারের একটি ছোট পরিসরের মধ্যদিয়ে নাটকীয়ভাবে ২০০০ মিটার নিচে পড়েছে। এই অংশটিতে বিপুল পরিমাণ জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাবনা আছে। প্রকৌশলগত খরচসহ এই বাঁধ নির্মাণের সার্বিক ব্যয় থ্রি গর্জেস বাঁধ প্রকল্পকেও পুরোপুরি ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। থ্রি গর্জেস বাঁধ প্রকল্পের ব্যয় হয়েছিল ৩৪৮৩ কোটি ডলার। এই প্রকল্পের কারণে ১৪ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হলেও তাদের সবাইকে পুনর্বাসন করা হয়েছিল। তিব্বতের প্রকল্পের কারণে কত মানুষ বাস্তুচ্যুত হবে আর এটি স্থানীয় আবাসকে কতটা ক্ষতিগ্রস্ত করবে কর্তৃপক্ষ তার কোনো সমীক্ষা হয়নি। তিব্বত মালভূমির মধ্যে এই অংশটি প্রাকৃতিকভাবে সবচেয়ে বৈচিত্র্যময় ও সমৃদ্ধ।

তবে চীনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিব্বতে জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো পরিবেশের ওপর বা নিম্নপ্রবাহে পানি সরবরাহের ক্ষেত্রে বড় ধরনের কোনো প্রভাব ফেলবে না। তাদের এমন দাবি সত্ত্বেও ভারত ও বাংলাদেশ এ বাঁধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এই প্রকল্পের সম্ভাব্য প্রভাবে শুধু স্থানীয় আবাসের পরিবর্তন সাধন হবে এমন নয়, এটি নিম্নপ্রবাহের নদীগুলোর পানি প্রবাহ ও গতিপথকেও প্রভাবিত করবে। ইয়ারলুং জাংপো নদী তিব্বত থেকে বের হওয়ার পর ব্রহ্মপুত্র নাম নিয়ে দক্ষিণে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ ও অসম হয়ে শেষ পর্যায়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

এই সংক্রান্ত আরও খবর
Copyright © 2025 Puber Kalom All rights reserved.
Developed By eTech Builder