২১ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘লাশ গুনতে গুনতে ক্লান্ত’, বার্তা লিখে স্ত্রী-সন্তানদের খুন হতাশাগ্রস্ত চিকিৎসকের

মাসুদ আলি
  • আপডেট : ৪ ডিসেম্বর ২০২১, শনিবার
  • / 10

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : “মহামারী কাউকে ছাড়বে না।” তাই স্ত্রী ও সন্তানদের খুন করে তাঁদের সমস্ত কষ্ট থেকে ‘মুক্তি’ দিলেন কানপুরের এক চিকিৎসক! উত্তরপ্রদেশের কানপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক সুশীল কুমার। চিকিৎসকের এ ধরনের বার্তা পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান তাঁর ভাই। তিনি গিয়ে দেখেন একটি ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তাঁর বৌদি। অন্য ঘরে ভাইপো-ভাইঝি। এর পরই পুলিশে খবর দেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, স্ত্রী, সন্তানদের খুন করার পরই ভাইকে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়েছিলেন চিকিৎসক।

পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে এবং দুই সন্তানকে হাতুড়ি দিয়ে মাথার খুলি ফাটিয়ে খুন করেছেন চিকিৎসক। পুলিশকে চিকিৎসকের ভাই জানিয়েছেন, তাঁর দাদা মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, ওমিক্রন আতঙ্কেই কি খুন নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে। যদিও এই ঘটনার পর থেকে পলাতক চিকিৎসক।

পুলিশ কমিশনার অসীম অরুণ জানিয়েছেন, খুন করার আগে স্ত্রী চন্দ্রপ্রভা( ৪৮), পুত্র শিখর সিং (১৮) ও কন্যাকে খুশি সিংকে মাদক খাইয়েছিলেন চিকিৎসক। এরপর তাঁরা আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে প্রথমে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন, এরপর দুই সন্তানের মাথায় হাতুড়ির বাড়ি মেরে খুন করেন।

তদন্তকারীরা চিকিৎসকের ঘর থেকে একটি ডায়েরি উদ্ধার করেছেন। সেখানে তিনি খুনের কথা লিখেছেন। শুধু তাই নয়, ওমিক্রনের কথাও সেখানে উল্লেখ করেছেন তিনি। তদন্তকারীদের দাবি, ডায়েরিতে এটাও স্পষ্ট করে লেখা যে, ‘এখন থেকে আর লাশ গুনতে হবে না। করোনা সবাইকে মারবে।’ডায়েরির খাপছাড়া লেখায় উল্লেখ করেন, “আমি নিজের ভুলের জন্য কেরিয়ারের এমন জায়গায় আটেক গেছি, যেখান থেকে আমার আর মুক্তি নেই।”

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

‘লাশ গুনতে গুনতে ক্লান্ত’, বার্তা লিখে স্ত্রী-সন্তানদের খুন হতাশাগ্রস্ত চিকিৎসকের

আপডেট : ৪ ডিসেম্বর ২০২১, শনিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক : “মহামারী কাউকে ছাড়বে না।” তাই স্ত্রী ও সন্তানদের খুন করে তাঁদের সমস্ত কষ্ট থেকে ‘মুক্তি’ দিলেন কানপুরের এক চিকিৎসক! উত্তরপ্রদেশের কানপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক সুশীল কুমার। চিকিৎসকের এ ধরনের বার্তা পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান তাঁর ভাই। তিনি গিয়ে দেখেন একটি ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তাঁর বৌদি। অন্য ঘরে ভাইপো-ভাইঝি। এর পরই পুলিশে খবর দেন তিনি।
পুলিশ সূত্রে খবর, স্ত্রী, সন্তানদের খুন করার পরই ভাইকে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠিয়েছিলেন চিকিৎসক।

পুলিশ জানিয়েছে, স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে এবং দুই সন্তানকে হাতুড়ি দিয়ে মাথার খুলি ফাটিয়ে খুন করেছেন চিকিৎসক। পুলিশকে চিকিৎসকের ভাই জানিয়েছেন, তাঁর দাদা মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, ওমিক্রন আতঙ্কেই কি খুন নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে। যদিও এই ঘটনার পর থেকে পলাতক চিকিৎসক।

পুলিশ কমিশনার অসীম অরুণ জানিয়েছেন, খুন করার আগে স্ত্রী চন্দ্রপ্রভা( ৪৮), পুত্র শিখর সিং (১৮) ও কন্যাকে খুশি সিংকে মাদক খাইয়েছিলেন চিকিৎসক। এরপর তাঁরা আচ্ছন্ন হয়ে পড়লে প্রথমে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন, এরপর দুই সন্তানের মাথায় হাতুড়ির বাড়ি মেরে খুন করেন।

তদন্তকারীরা চিকিৎসকের ঘর থেকে একটি ডায়েরি উদ্ধার করেছেন। সেখানে তিনি খুনের কথা লিখেছেন। শুধু তাই নয়, ওমিক্রনের কথাও সেখানে উল্লেখ করেছেন তিনি। তদন্তকারীদের দাবি, ডায়েরিতে এটাও স্পষ্ট করে লেখা যে, ‘এখন থেকে আর লাশ গুনতে হবে না। করোনা সবাইকে মারবে।’ডায়েরির খাপছাড়া লেখায় উল্লেখ করেন, “আমি নিজের ভুলের জন্য কেরিয়ারের এমন জায়গায় আটেক গেছি, যেখান থেকে আমার আর মুক্তি নেই।”