পুবের কলম প্রতিবেদক: কেন্দ্রীয় সরকারের আই-ক্যাট স্বীকৃতি পায় না টোটো (Toto) । কিন্তু তা সত্বেও দীর্ঘদিন ধরে টোটো ব্যবহারিক যান হিসবে যথেষ্ট জনপ্রিয়। সরকারিভাবে টোটোর রেজিস্ট্রেশন করানো যায় না। তবে বহু মানুষের জীবিকা জড়িয়ে রয়েছে এই টোটোর সঙ্গে। একসময় শুধু পকেট রোডে টোটো চালানোর কথা থাকলেও বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিশেষ করে শহরতলি এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয় এই টোটোর জন্য। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের প্রশ্নের উত্তরে শিলিগুড়িতে যানজট সমস্যা প্রসঙ্গে বিস্তারিতভাবে বলার সময়ে এই টোটো নিয়ে রাজ্য সরকারের আগাম চিন্তাভাবনার কথা জানান পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী (Snehasis Chakraborty)।
আরও পড়ুন: সেন্ট গ্যালেন মঞ্চে সেরার স্বীকৃতি পেল ‘Swasthya Sathi’
মন্ত্রী (Snehasis Chakraborty) বলেন, টোটো (Toto) চলাচল নিয়ন্ত্রণে আনতে পরিবহণ দফতর একটা নীতি তৈরি করছে। অনিয়ন্ত্রিতভাবে টোটো চালানোয় যানজট তৈরি হয়, দুর্ঘটনাও ঘটে যায়। এবার টোটো চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আনতে কিছু গাইডলাইন তৈরি করতে চলেছে রাজ্য সরকার। রেজিস্ট্রেশন করাতে না পারলেও প্রথমে স্টিকার দিয়ে টোটোগুলিকে চিহ্নিতকরণ করা হবে। এরপর জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন, পুরসভা, ইউনিয়নগুলির উপস্থিতিতে টোটোচালকদের ডেকে তাদের চলাচলের রুট বেঁধে দেওয়া হবে। বড় রাস্তা বা মূল রাস্তায় না চলে টোটো যাতে পকেট রুট দিয়েই চলে সেজন্য নির্দেশ দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বিদ্যুৎ পরিষেবায় ৪১১৬ কোটি টাকার বরাদ্দ, অনুমোদন West Bengal Legislative Assembly
পরিবহণমন্ত্রী (Snehasis Chakraborty) বলেন, শিলিগুড়ি শহরে প্রায় ৭ হাজারের মতো টোটো (Toto) এবং ৪ হাজারের মতো ই-রিকশা চলে। এই ই-রিকশাগুলিকে কালারফুল কিউ আর কোড দিয়ে নথিভুক্ত করা হবে। যে ই-রিকশা নির্দিষ্ট রাস্তায় চলাচল করবে। এছাড়া শিলিগুড়িতে আন্তঃরাজ্য বাস টার্মিনাস বাসস্ট্যান্ড তৈরির কথাও জানান মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী (Snehasis Chakraborty) । মন্ত্রী জানান, এই মুহূর্তে মালদহে বিমানবন্দর তৈরি জন্য পরিকাঠামো অনেকটাই তৈরি করা হয়েছে। কেন্দ্রের অনুমোদন পাওয়ার পরেই এই বিমানবন্দর চালু করা যাবে।