২০ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হবে লক্ষ্মী ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, ত্রিপুরায় সরকার গড়বে তৃণমূলই: অভিষেক

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, শুক্রবার
  • / 6

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরই মহারণ। ১৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। ফলপ্রকাশ ২ মার্চ। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রচার আর স্লোগানে তপ্ত ত্রিপুরার রাজনীতি। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার ত্রিপুরার মাটি থেকে পরিবর্তনের ডাক দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ত্রিপুরার মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকলে ২০২৩ সালে রাজ্যে সরকার গড়বে তৃণমূলই।

এদিন, ত্রিপুরার কমলপুরে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে ভোটপ্রচারে এসে শুরু থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে শুরু করেন অভিষেক। বাম ও বিজেপির শাসনের তুলনা টেনে বলেন, ত্রিপুরায় ২৫ বছরের বাম আমলের থেকেও বড় ক্ষতি করে দিয়েছে বিজেপি। বাম শাসনে জঘন্য পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু, তার থেকেও বেশি ক্ষতি গত ৫ বছরে করে দিয়েছে বিজেপির ডৃবল ইঞ্জিন সরকার।

মূল্যবৃদ্ধি ইসুতে বিজেপির সমালোচনা করে বলেন, ‘বিজেপিকে হারান, দেখবেন মূল্যবৃদ্ধি কমে গিয়েছে।’

অভিষেকের দাবি, বাংলায় বিধানসভা ভোটে হারার পরই ত্রিপুরায় পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমিয়ে দিয়েছিল বিজেপি সরকার। অভিষেকের কথায়, ‘ত্রিপুরাবাসী ডবল ইঞ্জিন সরকারের ফাঁদে পা দিয়েছিল। ভাঁওতাবাজ বিজেপিকে যোগ্য জবাব দেওয়ার সময় এসে গিয়েছে। আপনারা জোট বাঁধুন। যদি ভারতীয় জনতা পার্টি আবার জেতে তাহলে রান্নার গ্যাস, পেট্রোল,ডিজেলের দাম বাড়বে। বিজেপি হারলেদাম আর বাড়বে না। বিজেপি যত হেরেছে মূল্যবৃদ্ধি তত কমেছে। বিজেপিকে হারান, দেখবেন মূল্যবৃদ্ধি কমে গিয়েছে।’

রাজ্যে বিপ্লব দেবকে সরিয়ে মানিক সাহাকে মুখ্যমন্ত্রী করা নিয়েও মুখ খোলেন অভিষেক। দাবি করেন, রাজ্যে সিপিএম, কংগ্রেস, তিপ্রা মথার মতো বিরোধীরা থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র তৃণমূলের চাপেই মুখ্যমন্ত্রী বদল করতে বাধ্য হয়েছে বিজেপি। বাংলার সঙ্গে ত্রিপুরার তুলনা টেনে বলেন, বাংলা-ত্রিপুরা ভাই-ভাই। কোথাও কিছু আলাদা নেই। খাদ্য-পোশাক-ভাষা সবেতেই মিল রয়েছে। কিন্তু, বাংলা এখন কত এগিয়ে গিয়েছে। আর বিজেপির শাসনে পিছিয়ে গিয়েছে ত্রিপুরা। রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় এলে বাংলার মতো লক্ষী ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, যুবশ্রীর মতো প্রকল্প চালু করা হবে।

ত্রিপুরায় নতুন ভোর আসছে দাবি করে অভিষেক বলেন, ‘‘বাংলা দেখিয়ে দিয়েছে বিজেপিকে কীভাবে হারাতে হয়। তৃণমূল ত্রিপুরার মাটিতে পা দেওয়ার পর বিজেপির পায়ের নীচের মাটি কেঁপে গিয়েছে। ত্রিপুরার মানুষ ফের পরিবর্তন চান। আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকলে ২০২৩ সালে সরকার বদলাবে। আর এই পরিবর্তনের জন্য ভয় না পেয়ে ভোট দিন। বিজেপি ঠিক করেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সভা করতে দেবে না। এরা একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসকে ভয় করে। কারণ তৃণমূল কংগ্রেস একমাত্র দল যারা বুক চিতিয়ে লড়াই করছে। ইডি, সিবিআই কারও কাছে মাথা নত করবে না তৃণমূল কংগ্রেস।’’

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

হবে লক্ষ্মী ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, ত্রিপুরায় সরকার গড়বে তৃণমূলই: অভিষেক

আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। তারপরই মহারণ। ১৬ ফেব্রুয়ারি ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন। ফলপ্রকাশ ২ মার্চ। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রচার আর স্লোগানে তপ্ত ত্রিপুরার রাজনীতি। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার ত্রিপুরার মাটি থেকে পরিবর্তনের ডাক দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ত্রিপুরার মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকলে ২০২৩ সালে রাজ্যে সরকার গড়বে তৃণমূলই।

এদিন, ত্রিপুরার কমলপুরে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে ভোটপ্রচারে এসে শুরু থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে শুরু করেন অভিষেক। বাম ও বিজেপির শাসনের তুলনা টেনে বলেন, ত্রিপুরায় ২৫ বছরের বাম আমলের থেকেও বড় ক্ষতি করে দিয়েছে বিজেপি। বাম শাসনে জঘন্য পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। কিন্তু, তার থেকেও বেশি ক্ষতি গত ৫ বছরে করে দিয়েছে বিজেপির ডৃবল ইঞ্জিন সরকার।

মূল্যবৃদ্ধি ইসুতে বিজেপির সমালোচনা করে বলেন, ‘বিজেপিকে হারান, দেখবেন মূল্যবৃদ্ধি কমে গিয়েছে।’

অভিষেকের দাবি, বাংলায় বিধানসভা ভোটে হারার পরই ত্রিপুরায় পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমিয়ে দিয়েছিল বিজেপি সরকার। অভিষেকের কথায়, ‘ত্রিপুরাবাসী ডবল ইঞ্জিন সরকারের ফাঁদে পা দিয়েছিল। ভাঁওতাবাজ বিজেপিকে যোগ্য জবাব দেওয়ার সময় এসে গিয়েছে। আপনারা জোট বাঁধুন। যদি ভারতীয় জনতা পার্টি আবার জেতে তাহলে রান্নার গ্যাস, পেট্রোল,ডিজেলের দাম বাড়বে। বিজেপি হারলেদাম আর বাড়বে না। বিজেপি যত হেরেছে মূল্যবৃদ্ধি তত কমেছে। বিজেপিকে হারান, দেখবেন মূল্যবৃদ্ধি কমে গিয়েছে।’

রাজ্যে বিপ্লব দেবকে সরিয়ে মানিক সাহাকে মুখ্যমন্ত্রী করা নিয়েও মুখ খোলেন অভিষেক। দাবি করেন, রাজ্যে সিপিএম, কংগ্রেস, তিপ্রা মথার মতো বিরোধীরা থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র তৃণমূলের চাপেই মুখ্যমন্ত্রী বদল করতে বাধ্য হয়েছে বিজেপি। বাংলার সঙ্গে ত্রিপুরার তুলনা টেনে বলেন, বাংলা-ত্রিপুরা ভাই-ভাই। কোথাও কিছু আলাদা নেই। খাদ্য-পোশাক-ভাষা সবেতেই মিল রয়েছে। কিন্তু, বাংলা এখন কত এগিয়ে গিয়েছে। আর বিজেপির শাসনে পিছিয়ে গিয়েছে ত্রিপুরা। রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় এলে বাংলার মতো লক্ষী ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, যুবশ্রীর মতো প্রকল্প চালু করা হবে।

ত্রিপুরায় নতুন ভোর আসছে দাবি করে অভিষেক বলেন, ‘‘বাংলা দেখিয়ে দিয়েছে বিজেপিকে কীভাবে হারাতে হয়। তৃণমূল ত্রিপুরার মাটিতে পা দেওয়ার পর বিজেপির পায়ের নীচের মাটি কেঁপে গিয়েছে। ত্রিপুরার মানুষ ফের পরিবর্তন চান। আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকলে ২০২৩ সালে সরকার বদলাবে। আর এই পরিবর্তনের জন্য ভয় না পেয়ে ভোট দিন। বিজেপি ঠিক করেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সভা করতে দেবে না। এরা একমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসকে ভয় করে। কারণ তৃণমূল কংগ্রেস একমাত্র দল যারা বুক চিতিয়ে লড়াই করছে। ইডি, সিবিআই কারও কাছে মাথা নত করবে না তৃণমূল কংগ্রেস।’’