চিনের ওপর ২৪৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ ট্রাম্পের

- আপডেট : ১৬ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার
- / 34
পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: চিনের ওপর শুল্কের পরিমাণ আরও বাড়িয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার আরোপ করা বাড়তি শুল্কের কারণে চিনের ওপর এখন মার্কিন শুল্কের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৪৫ শতাংশে।
হোয়াইট হাউসের তরফে বুধবার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পালটা পদক্ষেপের কারণে এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে চিনের পণ্যের ওপর ২৪৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক ধার্য করা হবে। তারা এ পদক্ষেপকে ট্রাম্পের ‘আমেরিকা ফার্স্ট ট্রেড পলিসির’ অংশ হিসেবে উল্লেখ করেছে। ট্রাম্প প্রশাসন অভিযোগ করেছে, চিন ইচ্ছাকৃতভাবে কোবাল্ট, লিথিয়াম, নিকেল, স্মার্টফোন এবং ব্যাটারি (বৈদ্যুতিক যানবাহনের জন্য) তৈরিতে ব্যবহৃত বিরল ধাতুর (সামারিয়াম, ডোলিনিয়াম, টারবিয়াম, ডিসপ্রোসিয়াম, লিউটেনিয়াম, স্ক্যানডিয়াম, ইট্রিয়ামমের মতো প্রায় ১৭টি ‘আর্থ মেটাল’-এর পাশাপাশি সামরিক সরঞ্জাম আমেরিকায় রফতানির উপরেও চিন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
অন্যদিকে, মালয়েশিয়ায় তিন দিনের সফরে পৌঁছেছেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার তিন দেশ সফরের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি কুয়ালা লামপুরে পৌঁছান। চিনই এখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে বেশি নির্ভরযোগ্য বাণিজ্যিক অংশীদার – এই বার্তা দিতেই তাঁর এই সফর বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
মালয়েশিয়ায় পা রাখার পর প্রেসিডেন্ট শি বলেন, ‘দ্বিপাক্ষিক উচ্চ পর্যায়ের কৌশলগত সহযোগিতা শুধু চিন-মালয়েশিয়ার জন্য নয়, বরং এই অঞ্চলের ও বিশ্বের শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং সমৃদ্ধির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।’ মালয়েশিয়ার সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও সাবেক মন্ত্রী মুহাম্মদ নাজরি আবদুল আজিজ বলেন, ‘এই সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এটা চিনের পক্ষ থেকে একটি কৌশলগত বার্তা;তারা নির্ভরযোগ্য বাণিজ্যিক অংশীদার। আমরা কখনোই চিনের সঙ্গে লেনদেনে সমস্যা দেখিনি। প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সময়ে মালয়েশিয়া চিনের আরও কাছাকাছি চলে এসেছে। দীর্ঘমেয়াদে মার্কিন প্রভাব কমে যাবে বলেই মনে হচ্ছে।
জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, ‘মালয়েশিয়া চিনের সঙ্গে অর্থনীতি, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-সহ (এআই) নতুন প্রযুক্তির ক্ষেত্রে পারস্পরিক স্বার্থের বিভিন্ন ক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শি কেবল একটি দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবেই নয়, বরং একজন প্রকৃত বন্ধুও।’
২০০৯ সাল থেকে চিন টানা ১৬ বছর ধরে মালয়েশিয়ার বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার। ২০২৪ সালে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১২ বিলিয়ন ডলারে।