২৫ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তুরস্ক ভূমিকম্প : ধ্বংসস্তূপ থেকে হিজাব ছাড়া বের হতে  অস্বীকার মহিলার     

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, রবিবার
  • / 11

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: তুরস্ক-সিরিয়া এখন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ছুঁই ছুঁই। গুরুতর আহতের সংখ্যা কমপক্ষে ৯০ হাজার। গৃহহীন রয়েছে আরও ৫৮ লক্ষ মানুষের মতো। অসমর্থিত সূত্রের খবর অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি। যা প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক স্থানীয় প্রশাসন।

উল্লেখ্য, সময় যত এগোচ্ছে জীবিত উদ্ধারের আশা তত ক্ষীণ হচ্ছে। তারপর প্রতিকূল আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে   চলছে উদ্ধারকাজ। ভয়াবহ ভূমিকম্পে লণ্ডভণ্ড তুরস্কের ১০টি প্রদেশে চলছে উদ্ধার অভিযান। বিশ্বের ৬০টিরও বেশি দেশ থেকে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে দেশটিতে। তুরস্কের ভূমিকম্পে আটকে পড়াদের উদ্ধারের সময় বিভিন্ন পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।

 ৫৮ ঘণ্টা পর জীবিত শিশু উদ্ধারসহ বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছেন তাঁরা। মঙ্গলবার গাজিয়াতেপে এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকল  সেখানে কর্মরত উদ্ধারকর্মীরা। ধ্বংস্তূপ থেকে  এক মহিলাকে  উদ্ধারের সময় বিচিত্র এক পরিস্থিতির মুখে পড়েন উদ্ধারকর্মীরা। হিজাব ছাড়া  ধ্বংস্তূপ থেকে বের হতে অস্বীকার জানান ওই মহিলা। পরে মাথায় হিজাব দেওয়ার  পর তাকে বের করে আনা হয়।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপটির নিচে তিন সন্তানসহ আটকে  পড়েছিলেন ওই মহিলা। উদ্ধারকারী দল যখন তাদের বের করে আনার চেষ্টা  করছিল, তখন মহিলা তার মাথায় হিজাব দেওয়ার অনুরোধ জানান। এ সময় তাকে  সান্ত্বনা দিয়ে এক উদ্ধারকারী বলেন, ‘আমরা সবাই আপনার সন্তানতুল্য।’

ভিডিওতে দেখা যায়, অত্যন্ত সতর্কতা ও শালীনতার সঙ্গে ধ্বংসস্তূপ  থেকে বের হচ্ছেন ওই মহিলা। পরে উদ্ধারকর্মীরা তাকবীরের ধ্বনি ও করতালি দিয়ে তাকে  স্টেচারে শুইয়ে নিয়ে যান। ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপের ভেতর আটকে থেকেও এই মহিলা শালীনতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রশংসা করছেন নেটিজেনরা।

সোমবার ভোরে কাহরামানমারাস-সহ তুরস্কের ১০টি প্রদেশে আঘাত হানে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প। দেশটির প্রায় দেড় কোটি মানুষ এই ভূমিকম্পে  ক্ষতিগ্রস্থ  হয়েছে। তুরস্কের পাশাপাশি সিরিয়াতেও ভয়াবহ তাণ্ডব চালিয়েছে এই ভূমিকম্প। এ ছাড়া লেবাননসহ অন্যান্য দেশেও তীব্র কম্পন অনুভূত হয়। তবে তুরস্ক ও সিরিয়ার মতো অন্য কোনো দেশ ক্ষয়ক্ষতির কবলে  পড়েনি।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

তুরস্ক ভূমিকম্প : ধ্বংসস্তূপ থেকে হিজাব ছাড়া বের হতে  অস্বীকার মহিলার     

আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, রবিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: তুরস্ক-সিরিয়া এখন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২৯ হাজার ছুঁই ছুঁই। গুরুতর আহতের সংখ্যা কমপক্ষে ৯০ হাজার। গৃহহীন রয়েছে আরও ৫৮ লক্ষ মানুষের মতো। অসমর্থিত সূত্রের খবর অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি। যা প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক স্থানীয় প্রশাসন।

উল্লেখ্য, সময় যত এগোচ্ছে জীবিত উদ্ধারের আশা তত ক্ষীণ হচ্ছে। তারপর প্রতিকূল আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে   চলছে উদ্ধারকাজ। ভয়াবহ ভূমিকম্পে লণ্ডভণ্ড তুরস্কের ১০টি প্রদেশে চলছে উদ্ধার অভিযান। বিশ্বের ৬০টিরও বেশি দেশ থেকে উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে দেশটিতে। তুরস্কের ভূমিকম্পে আটকে পড়াদের উদ্ধারের সময় বিভিন্ন পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন উদ্ধারকারীরা।

 ৫৮ ঘণ্টা পর জীবিত শিশু উদ্ধারসহ বিভিন্ন অলৌকিক ঘটনার সম্মুখীন হচ্ছেন তাঁরা। মঙ্গলবার গাজিয়াতেপে এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকল  সেখানে কর্মরত উদ্ধারকর্মীরা। ধ্বংস্তূপ থেকে  এক মহিলাকে  উদ্ধারের সময় বিচিত্র এক পরিস্থিতির মুখে পড়েন উদ্ধারকর্মীরা। হিজাব ছাড়া  ধ্বংস্তূপ থেকে বের হতে অস্বীকার জানান ওই মহিলা। পরে মাথায় হিজাব দেওয়ার  পর তাকে বের করে আনা হয়।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপটির নিচে তিন সন্তানসহ আটকে  পড়েছিলেন ওই মহিলা। উদ্ধারকারী দল যখন তাদের বের করে আনার চেষ্টা  করছিল, তখন মহিলা তার মাথায় হিজাব দেওয়ার অনুরোধ জানান। এ সময় তাকে  সান্ত্বনা দিয়ে এক উদ্ধারকারী বলেন, ‘আমরা সবাই আপনার সন্তানতুল্য।’

ভিডিওতে দেখা যায়, অত্যন্ত সতর্কতা ও শালীনতার সঙ্গে ধ্বংসস্তূপ  থেকে বের হচ্ছেন ওই মহিলা। পরে উদ্ধারকর্মীরা তাকবীরের ধ্বনি ও করতালি দিয়ে তাকে  স্টেচারে শুইয়ে নিয়ে যান। ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপের ভেতর আটকে থেকেও এই মহিলা শালীনতা ও ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রশংসা করছেন নেটিজেনরা।

সোমবার ভোরে কাহরামানমারাস-সহ তুরস্কের ১০টি প্রদেশে আঘাত হানে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প। দেশটির প্রায় দেড় কোটি মানুষ এই ভূমিকম্পে  ক্ষতিগ্রস্থ  হয়েছে। তুরস্কের পাশাপাশি সিরিয়াতেও ভয়াবহ তাণ্ডব চালিয়েছে এই ভূমিকম্প। এ ছাড়া লেবাননসহ অন্যান্য দেশেও তীব্র কম্পন অনুভূত হয়। তবে তুরস্ক ও সিরিয়ার মতো অন্য কোনো দেশ ক্ষয়ক্ষতির কবলে  পড়েনি।