২১ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জন্মহার বাড়ানোর পরিকল্পনা চালু তুরস্কে

চামেলি দাস
  • আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার
  • / 31

বিবাহের হার কমে যাওয়া, ডিভোর্স বাড়া এবং বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগে পড়েছে তুরস্কের প্রশাসন। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে একাধিক নতুন উদ্যোগ নিতে চলেছে তুরস্ক সরকার। একইসঙ্গে জন্মহার বাড়ানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন নীতি ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান।

২০২৫ সালের শুরু থেকে দেশটিতে চালু হয়েছে একটি নতুন সরকারি কর্মসূচি, যার আওতায় সন্তান নেওয়া দম্পতিরা আর্থিক সহায়তা পাবেন। এই কর্মসূচি অনুযায়ী, প্রথম সন্তানের জন্য দম্পতিদের এককালীন ৫ হাজার লিরা প্রদান করা হবে। দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম হলে প্রতি মাসে ১ হাজার ৫০০ লিরা করে ভাতা দেওয়া হবে এবং তৃতীয় সন্তানের ক্ষেত্রে মাসিক ৫ হাজার লিরা করে সহায়তা দেওয়া হবে, যা প্রায় ১৩২ মার্কিন ডলার বা ১৬ হাজার বাংলাদেশি টাকার সমান।

এই আর্থিক সুবিধা শুধু দেশেই সীমাবদ্ধ নয়। যারা বিদেশে বসবাস করেন, তারাও তুরস্কের দূতাবাস বা কনস্যুলেটের মাধ্যমে এই প্রণোদনার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তুরস্কে জীবনযাত্রার ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই বিয়ে করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না, আবার যারা বিয়ে করছেন, তারাও সন্তান নেওয়ার বিষয়ে দ্বিধাগ্রস্ত। নতুন এই কর্মসূচিকে তাই ‘তুরস্কের ভবিষ্যতের ঝুঁকি মোকাবেলার পরিকল্পনা’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, জনসংখ্যায় প্রবীণদের অনুপাত বেড়ে যাওয়া এবং শিশু জন্মহার কমে যাওয়া তুরস্কের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভারসাম্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এই আশঙ্কা থেকেই সক্রিয় হয়েছেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান  এবং তিনি এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছেন।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

জন্মহার বাড়ানোর পরিকল্পনা চালু তুরস্কে

আপডেট : ২১ এপ্রিল ২০২৫, সোমবার

বিবাহের হার কমে যাওয়া, ডিভোর্স বাড়া এবং বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগে পড়েছে তুরস্কের প্রশাসন। এই পরিস্থিতি সামাল দিতে একাধিক নতুন উদ্যোগ নিতে চলেছে তুরস্ক সরকার। একইসঙ্গে জন্মহার বাড়ানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন নীতি ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান।

২০২৫ সালের শুরু থেকে দেশটিতে চালু হয়েছে একটি নতুন সরকারি কর্মসূচি, যার আওতায় সন্তান নেওয়া দম্পতিরা আর্থিক সহায়তা পাবেন। এই কর্মসূচি অনুযায়ী, প্রথম সন্তানের জন্য দম্পতিদের এককালীন ৫ হাজার লিরা প্রদান করা হবে। দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম হলে প্রতি মাসে ১ হাজার ৫০০ লিরা করে ভাতা দেওয়া হবে এবং তৃতীয় সন্তানের ক্ষেত্রে মাসিক ৫ হাজার লিরা করে সহায়তা দেওয়া হবে, যা প্রায় ১৩২ মার্কিন ডলার বা ১৬ হাজার বাংলাদেশি টাকার সমান।

এই আর্থিক সুবিধা শুধু দেশেই সীমাবদ্ধ নয়। যারা বিদেশে বসবাস করেন, তারাও তুরস্কের দূতাবাস বা কনস্যুলেটের মাধ্যমে এই প্রণোদনার জন্য আবেদন করতে পারবেন। তুরস্কে জীবনযাত্রার ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই বিয়ে করতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না, আবার যারা বিয়ে করছেন, তারাও সন্তান নেওয়ার বিষয়ে দ্বিধাগ্রস্ত। নতুন এই কর্মসূচিকে তাই ‘তুরস্কের ভবিষ্যতের ঝুঁকি মোকাবেলার পরিকল্পনা’ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, জনসংখ্যায় প্রবীণদের অনুপাত বেড়ে যাওয়া এবং শিশু জন্মহার কমে যাওয়া তুরস্কের সামাজিক ও অর্থনৈতিক ভারসাম্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এই আশঙ্কা থেকেই সক্রিয় হয়েছেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান  এবং তিনি এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরাসরি হস্তক্ষেপ করেছেন।