১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

একই পরিবারের দুই ভাই দুই বোন আইএএস– আইপিএস

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৩১ জুলাই ২০২২, রবিবার
  • / 15

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ একই পরিবারের ৪ জন আইএএস– আইপিএস। সচারচর  এমনটা দেখা যায় না। উত্তরপ্রদেশের লালগঞ্জের বাসিন্দা এই কাহার ভাই বোন  দেশের অন্যতম কঠিন পরীক্ষা ইউপিএসসি ক্রাক করে দেখিয়ে দিয়েছেন।  বাবা অনিল প্রকাশ মিশ্র ছিলেন গ্রামীণ ব্যাঙ্কের ম্যানেজার। কষ্ট করেই ছিল মেয়েদের বড় করেছেন। কিন্তু ছেলে মেয়েদের পড়াশুনার সঙ্গে কখনো আপস করেননি।সবসময় ছেলেমেয়েদের কুয়ালিটি এডুকেশন দিয়েছি। আমি চাইতাম ওরা যেন সকলে ভালো চাকরি পায়। সেই হিসাবেই ওদের পড়াশুনাতে মন দিতে বলতাম।

 

চার ভাইবোনের মধ্যে বড় যোগেশ মিশ্র। তিনি আইএএস অফিসার। লালগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে তিনি মতিলাল নেহেরু ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে ইঞ্জিনিয়ারিং করেন।এর পর চাকরি নেন নয়ডায়। কিন্তু চাকরির প্রস্তুতি জারি রাখেন। ২০১৩ তে তিনি ইউপিএসসি ক্রাক করেন। বোন– ক্ষমা মিশ্র তখন সিভিল সার্ভিসের জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।  প্রথম তিনবারে প্রচেষ্টায় ক্লেয়ার করতে পারেননি। তবে চতুর্থ প্রচেষ্টার সময় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।বর্তমানে তিনি  আইপিএস অফিসার।

 

তৃতীয়জন মাধুরী মিশ্র।  লালগঞ্জের একটি কলেজ থেকে স্নাতক হওয়ার পর– তিনি  মাস্টার্স করার জন্য এলাহাবাদে চলে আসেন। এর পরে, তিনি  ২০১৪  সালে  সফলভাবে  ইউপিএসসি ক্রাক করেন।বর্তমনে তিনি ঝাড়খণ্ড ক্যাডারের আইএএস অফিসার হন। সবথেকে ছোট ভাই লোকেশ মিশ্র এখন বিহার ক্যাডারে আছেন।২০১৫  সালে ইউপিএসসি পরীক্ষায় ৪৪ তম স্থান অধিকার করেছিলেন তিনি। গর্বিত বাবা বলেন, ‘বলুন তো আমি আর কী চাইতে পারি? আমার সন্তানদের কারণে আমি আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারি।একেকজন বাবার কাছে এর থেকে বেশি পাওয়ার কি আছে।’

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

একই পরিবারের দুই ভাই দুই বোন আইএএস– আইপিএস

আপডেট : ৩১ জুলাই ২০২২, রবিবার

পুবের কলম ওয়েবডেস্কঃ একই পরিবারের ৪ জন আইএএস– আইপিএস। সচারচর  এমনটা দেখা যায় না। উত্তরপ্রদেশের লালগঞ্জের বাসিন্দা এই কাহার ভাই বোন  দেশের অন্যতম কঠিন পরীক্ষা ইউপিএসসি ক্রাক করে দেখিয়ে দিয়েছেন।  বাবা অনিল প্রকাশ মিশ্র ছিলেন গ্রামীণ ব্যাঙ্কের ম্যানেজার। কষ্ট করেই ছিল মেয়েদের বড় করেছেন। কিন্তু ছেলে মেয়েদের পড়াশুনার সঙ্গে কখনো আপস করেননি।সবসময় ছেলেমেয়েদের কুয়ালিটি এডুকেশন দিয়েছি। আমি চাইতাম ওরা যেন সকলে ভালো চাকরি পায়। সেই হিসাবেই ওদের পড়াশুনাতে মন দিতে বলতাম।

 

চার ভাইবোনের মধ্যে বড় যোগেশ মিশ্র। তিনি আইএএস অফিসার। লালগঞ্জে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে তিনি মতিলাল নেহেরু ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে ইঞ্জিনিয়ারিং করেন।এর পর চাকরি নেন নয়ডায়। কিন্তু চাকরির প্রস্তুতি জারি রাখেন। ২০১৩ তে তিনি ইউপিএসসি ক্রাক করেন। বোন– ক্ষমা মিশ্র তখন সিভিল সার্ভিসের জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।  প্রথম তিনবারে প্রচেষ্টায় ক্লেয়ার করতে পারেননি। তবে চতুর্থ প্রচেষ্টার সময় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।বর্তমানে তিনি  আইপিএস অফিসার।

 

তৃতীয়জন মাধুরী মিশ্র।  লালগঞ্জের একটি কলেজ থেকে স্নাতক হওয়ার পর– তিনি  মাস্টার্স করার জন্য এলাহাবাদে চলে আসেন। এর পরে, তিনি  ২০১৪  সালে  সফলভাবে  ইউপিএসসি ক্রাক করেন।বর্তমনে তিনি ঝাড়খণ্ড ক্যাডারের আইএএস অফিসার হন। সবথেকে ছোট ভাই লোকেশ মিশ্র এখন বিহার ক্যাডারে আছেন।২০১৫  সালে ইউপিএসসি পরীক্ষায় ৪৪ তম স্থান অধিকার করেছিলেন তিনি। গর্বিত বাবা বলেন, ‘বলুন তো আমি আর কী চাইতে পারি? আমার সন্তানদের কারণে আমি আজ মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারি।একেকজন বাবার কাছে এর থেকে বেশি পাওয়ার কি আছে।’