১১ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খাবার এবং ওষুধ সংকটে উইঘুররা

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২, রবিবার
  • / 5

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য চিনের শিনজিয়াং শহরে প্রায় এক মাস ধরে লকডাউন জারি রয়েছে। ফলে সেখানে খাবার এবং ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। এই ঘটনায় সেখানকার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ক্ষমা চেয়েছে। কাজাখস্তানের সীমান্তবর্তী উত্তর শিনজিয়াংয়ের একটি অংশ ইলি। সেখানে খাবার এবং ওষুধের ঘাটতি এবং কঠিন পরিস্থিতির বিষয়টি কয়েকদিন ধরেই চিনের সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে পড়েছে। কিছু পোস্ট সেন্সরও করা হচ্ছে। তবে শুক্রবার এই পরিস্থিতির কথা স্বীকার করেছেন কর্মকর্তারা। সংকটে পড়া ওই এলাকার ডেপুটি গভর্নর লিউ কিংহুয়াও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, লকডাউনের কারণে অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারছেন না এবং খাবার বিতরণে সমস্যা হচ্ছে। ফলে কিছুটা সংকট তৈরি হয়েছে। লিউ বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তার প্রভাব ও অসুবিধার জন্য স্থানীয় সরকার গভীরভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। উল্লেখ্য, চিনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি বিশাল অঞ্চলজুড়ে শিনজিয়াংয়ের অবস্থান যেখানে সংখ্যালঘু উইঘুরসহ বেশ কয়েকটি জাতিগত গোষ্ঠীর আবাসস্থল। এই অঞ্চলকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে চিনা কর্তৃপক্ষ। চিনের দাবি, সেখানে বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং ধর্মীয় চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াই করছে সরকার। যদিও এটি বেশিরভাগ মুসলিম উইঘুর এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের লক্ষ্যেই করা হচ্ছে। শিনজিয়াংয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও রয়েছে। তাই করোনা নিয়ন্ত্রণের কথা বলে উইঘুরদের কোনও ভাবে টার্গেট করা হচ্ছে কিনা তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন মানবাধিকারকর্মীরা।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

খাবার এবং ওষুধ সংকটে উইঘুররা

আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২, রবিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য চিনের শিনজিয়াং শহরে প্রায় এক মাস ধরে লকডাউন জারি রয়েছে। ফলে সেখানে খাবার এবং ওষুধের সংকট দেখা দিয়েছে। এই ঘটনায় সেখানকার স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ক্ষমা চেয়েছে। কাজাখস্তানের সীমান্তবর্তী উত্তর শিনজিয়াংয়ের একটি অংশ ইলি। সেখানে খাবার এবং ওষুধের ঘাটতি এবং কঠিন পরিস্থিতির বিষয়টি কয়েকদিন ধরেই চিনের সোশ্যাল সাইটে ছড়িয়ে পড়েছে। কিছু পোস্ট সেন্সরও করা হচ্ছে। তবে শুক্রবার এই পরিস্থিতির কথা স্বীকার করেছেন কর্মকর্তারা। সংকটে পড়া ওই এলাকার ডেপুটি গভর্নর লিউ কিংহুয়াও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, লকডাউনের কারণে অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারছেন না এবং খাবার বিতরণে সমস্যা হচ্ছে। ফলে কিছুটা সংকট তৈরি হয়েছে। লিউ বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তার প্রভাব ও অসুবিধার জন্য স্থানীয় সরকার গভীরভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। উল্লেখ্য, চিনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি বিশাল অঞ্চলজুড়ে শিনজিয়াংয়ের অবস্থান যেখানে সংখ্যালঘু উইঘুরসহ বেশ কয়েকটি জাতিগত গোষ্ঠীর আবাসস্থল। এই অঞ্চলকে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে চিনা কর্তৃপক্ষ। চিনের দাবি, সেখানে বিচ্ছিন্নতাবাদ এবং ধর্মীয় চরমপন্থার বিরুদ্ধে লড়াই করছে সরকার। যদিও এটি বেশিরভাগ মুসলিম উইঘুর এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের লক্ষ্যেই করা হচ্ছে। শিনজিয়াংয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও রয়েছে। তাই করোনা নিয়ন্ত্রণের কথা বলে উইঘুরদের কোনও ভাবে টার্গেট করা হচ্ছে কিনা তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন মানবাধিকারকর্মীরা।