১৫ এপ্রিল ২০২৫, মঙ্গলবার, ১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

অবাধ মানুষ হত্যার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে গাজা : গুতেরেস

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ৯ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার
  • / 45

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: দখলদার শক্তি ইসরাইল আন্তর্জাতিক আইনি দায়িত্বের ‘কোনোটিই’ পূরণ করছে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। মঙ্গলবার ৮ এপ্রিল চতুর্থ জেনেভা কনভেনশনের বেশ কয়েকটি বিধান উত্থাপন করে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষকে আন্তর্জাতিক আইনের বাধ্যবাধকতাগুলো মনে করিয়ে দেন তিনি।

 

গুতেরেস বলেন, ‘গাজা মানুষ হত্যার একটা ক্ষেত্র (হয়ে উঠেছে) ও সেখানকার বেসামরিক লোকজন এক অন্তহীন মৃত্যুফাঁদে আটকে পড়েছেন। গাজার পরিস্থিতি বর্ণনা করার জন্য বিশ্বের কাছে হয়তো শব্দ ফুরিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা কখনই সত্য থেকে পালিয়ে যাব না। কোনো মানবিক সরবরাহ গাজায় প্রবেশ করতে পারছে না। ক্রসিং পয়েন্টগুলোতে খাদ্য, ওষুধ এবং আশ্রয়ের সরবরাহ স্তূপীকৃত হচ্ছে এবং গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম আটকে আছে।’

 

নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় জাতিসংঘ প্রধান গাজার বর্তমান পরিস্থিতিকে আন্তর্জাতিক আইন এবং ইতিহাসের দৃষ্টিতে ‘সম্পূর্ণ অসহনীয়’ বলে বর্ণনা করেন। গুতেরেস গাজায় অবিলম্বে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি এবং পূর্ণ মানবিক প্রবেশাধিকার পুনরুদ্ধারের আহ্বান জানিয়েছেন। আন্তোনিও গুতেরেস আরও বলেন, আন্তর্জাতিক আইনের অধীন গাজার জনগণের কাছে খাবার ও চিকিৎসাসামগ্রী পৌঁছানো নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা দখলদার শক্তির (ইসরায়েল) রয়েছে। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সে পথ বন্ধ। আন্তর্জাতিক আইন ও ইতিহাসের চোখে এটি একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।’

গুতেরেসের মন্তব্যের আগে গত সোমবার এক যৌথ বিবৃতি দেয় জাতিসংঘের ছয়টি সংস্থা। বিবৃতিতে তারা ফিলিস্তিনিদের কাছে খাবার ও ত্রাণ সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিশ্বনেতাদের অবশ্যই জরুরি ভিত্তিতে কাজ করতে হবে বলে উল্লেখ করে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘গাজার বাসিন্দারা আবার ফাঁদে আটকে পড়েছেন এবং বোমা হামলা ও ক্ষুধার শিকার হচ্ছেন। গাজার সব বাসিন্দাকে খাওয়ানোর মতো এখন যথেষ্ট খাদ্য নেই এবং অত্যাবশ্যকীয় উপকরণ ফুরিয়ে আসছে।’ বিবৃতিতে যেসব সংস্থার প্রধানেরা সই করেছেন, সেসব হলো ওসিএইচএ, ইউনিসেফ, ডব্লিউএফপি, ডব্লিউএইচও, ইউএনআরডব্লিউএ, ইউএনওপিএস।

Tag :

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

অবাধ মানুষ হত্যার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে গাজা : গুতেরেস

আপডেট : ৯ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েব ডেস্ক: দখলদার শক্তি ইসরাইল আন্তর্জাতিক আইনি দায়িত্বের ‘কোনোটিই’ পূরণ করছে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। মঙ্গলবার ৮ এপ্রিল চতুর্থ জেনেভা কনভেনশনের বেশ কয়েকটি বিধান উত্থাপন করে ইসরাইলি কর্তৃপক্ষকে আন্তর্জাতিক আইনের বাধ্যবাধকতাগুলো মনে করিয়ে দেন তিনি।

 

গুতেরেস বলেন, ‘গাজা মানুষ হত্যার একটা ক্ষেত্র (হয়ে উঠেছে) ও সেখানকার বেসামরিক লোকজন এক অন্তহীন মৃত্যুফাঁদে আটকে পড়েছেন। গাজার পরিস্থিতি বর্ণনা করার জন্য বিশ্বের কাছে হয়তো শব্দ ফুরিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা কখনই সত্য থেকে পালিয়ে যাব না। কোনো মানবিক সরবরাহ গাজায় প্রবেশ করতে পারছে না। ক্রসিং পয়েন্টগুলোতে খাদ্য, ওষুধ এবং আশ্রয়ের সরবরাহ স্তূপীকৃত হচ্ছে এবং গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম আটকে আছে।’

 

নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় জাতিসংঘ প্রধান গাজার বর্তমান পরিস্থিতিকে আন্তর্জাতিক আইন এবং ইতিহাসের দৃষ্টিতে ‘সম্পূর্ণ অসহনীয়’ বলে বর্ণনা করেন। গুতেরেস গাজায় অবিলম্বে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি এবং পূর্ণ মানবিক প্রবেশাধিকার পুনরুদ্ধারের আহ্বান জানিয়েছেন। আন্তোনিও গুতেরেস আরও বলেন, আন্তর্জাতিক আইনের অধীন গাজার জনগণের কাছে খাবার ও চিকিৎসাসামগ্রী পৌঁছানো নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা দখলদার শক্তির (ইসরায়েল) রয়েছে। তিনি বলেন, ‘বর্তমানে সে পথ বন্ধ। আন্তর্জাতিক আইন ও ইতিহাসের চোখে এটি একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।’

গুতেরেসের মন্তব্যের আগে গত সোমবার এক যৌথ বিবৃতি দেয় জাতিসংঘের ছয়টি সংস্থা। বিবৃতিতে তারা ফিলিস্তিনিদের কাছে খাবার ও ত্রাণ সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিশ্বনেতাদের অবশ্যই জরুরি ভিত্তিতে কাজ করতে হবে বলে উল্লেখ করে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘গাজার বাসিন্দারা আবার ফাঁদে আটকে পড়েছেন এবং বোমা হামলা ও ক্ষুধার শিকার হচ্ছেন। গাজার সব বাসিন্দাকে খাওয়ানোর মতো এখন যথেষ্ট খাদ্য নেই এবং অত্যাবশ্যকীয় উপকরণ ফুরিয়ে আসছে।’ বিবৃতিতে যেসব সংস্থার প্রধানেরা সই করেছেন, সেসব হলো ওসিএইচএ, ইউনিসেফ, ডব্লিউএফপি, ডব্লিউএইচও, ইউএনআরডব্লিউএ, ইউএনওপিএস।