২০ এপ্রিল ২০২৫, রবিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

করোনা সতর্কতায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক থেকেই মাস্ক পরা সহ সতর্কতামূলক ডোজের পরামর্শ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাণ্ডবিয়ার

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২২, বুধবার
  • / 4

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ফের করোনা আতঙ্ক ফিরে আসতে চলেছে! এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কেন্দ্র সরকার। ইতিমধ্যেই চিনে এই ভয়াবহতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। চিনে এই শীতেই করোনার তিনটি ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এই অবস্থায় নড়েচড়ে বসল ভারত। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে বলল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া। ফের মাস্ক পরা সহ করোনা বুস্টার ডোজ নেওয়ার নিদান দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

 

চিন, জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কোরিয়া, ব্রাজিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এই প্রেক্ষিতে বুধবার ২১ ডিসেম্বর নয়া দিল্লিতে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া।

বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী একটি ট্যুইট করে বলেছেন, বেশ কয়েকটি দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে আজ, বিশেষজ্ঞ ও আধিকারিকদের নিয়ে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলাম। কোভিড এখনও শেষ হয়নি। আমি সংশ্লিষ্ট সমস্ত কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকতে এবং পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে বলেছি। আমরা যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য তৈরি আছি।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছাড়াও এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সদস্য ডা. ভি কে পল, ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসারি গ্রুপের চেয়ারম্যান ডা. এনকে অরোরা, ডা. আইসিএমআর-এর ডিজি রাজীব বহেল, বায়োটেকনোলজি দফতরের সচিব ডা. রাজেশ গোখালে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রকের স্বাস্থ্য পরিষেবার ডিরেক্টরেট জেনারেল ডা. অতুল গোয়েল।

এদিন বৈঠকে সকলে মাস্ক পরে যোগদান করেন। বৈঠক শেষে ডা. ভিকে পল সকলের উদ্দেশে বলেন, “ভিতরে হোক বা বাইরে, জনাকীর্ণ জায়গায় গেলে, মাস্ক ব্যবহার করুন। যাদের কোমরবিডিটি আছে এবং যারা বয়স্ক তাদের জন্য এটা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। মাত্র ২৭ থেকে ২৮ শতাংশ মানুষ কোভিড টিকার সতর্কতামূলক ডোজ নিয়েছেন। আমরা বাকিদের, বিশেষ করে প্রবীণ নাগরিকদের সতর্কতামূলক ডোজ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। সতর্কতামূলক   ডোজ নেওয়া বাধ্যতামূলক, এই নির্দেশ সকলকে মেনে চলতে হবে।”

মঙ্গলবারই, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি পাঠিয়ে জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। নমুনা, জিনোম সিকোয়েন্সিং ল্যাবরেটরিগুলিতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে চিনে ইতিমধ্যেই শয্যা বাড়িয়ে তোলার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। জিম, বাস্কেট বল কোর্টগুলিতেও শয্যা বাড়ানোর কাজ চলছে। সেই সঙ্গে আলাদা করে জ্বর ক্লিনিক গড়ে তোলার কাজ চলছে। সেখানে জ্বর সহ করোনার অন্যান্য উপসর্গ পরীক্ষা করে দেখা হবে। এই পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করেই করোনা নিয়ে ফের সতর্ক হল কেন্দ্র।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

করোনা সতর্কতায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক থেকেই মাস্ক পরা সহ সতর্কতামূলক ডোজের পরামর্শ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাণ্ডবিয়ার

আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২২, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: ফের করোনা আতঙ্ক ফিরে আসতে চলেছে! এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কেন্দ্র সরকার। ইতিমধ্যেই চিনে এই ভয়াবহতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। চিনে এই শীতেই করোনার তিনটি ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এই অবস্থায় নড়েচড়ে বসল ভারত। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে বলল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া। ফের মাস্ক পরা সহ করোনা বুস্টার ডোজ নেওয়ার নিদান দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

 

চিন, জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কোরিয়া, ব্রাজিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ফের বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এই প্রেক্ষিতে বুধবার ২১ ডিসেম্বর নয়া দিল্লিতে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া।

বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী একটি ট্যুইট করে বলেছেন, বেশ কয়েকটি দেশে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে আজ, বিশেষজ্ঞ ও আধিকারিকদের নিয়ে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলাম। কোভিড এখনও শেষ হয়নি। আমি সংশ্লিষ্ট সমস্ত কর্তৃপক্ষকে সতর্ক থাকতে এবং পরিস্থিতির দিকে নজর রাখতে বলেছি। আমরা যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্য তৈরি আছি।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছাড়াও এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সদস্য ডা. ভি কে পল, ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসারি গ্রুপের চেয়ারম্যান ডা. এনকে অরোরা, ডা. আইসিএমআর-এর ডিজি রাজীব বহেল, বায়োটেকনোলজি দফতরের সচিব ডা. রাজেশ গোখালে এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রকের স্বাস্থ্য পরিষেবার ডিরেক্টরেট জেনারেল ডা. অতুল গোয়েল।

এদিন বৈঠকে সকলে মাস্ক পরে যোগদান করেন। বৈঠক শেষে ডা. ভিকে পল সকলের উদ্দেশে বলেন, “ভিতরে হোক বা বাইরে, জনাকীর্ণ জায়গায় গেলে, মাস্ক ব্যবহার করুন। যাদের কোমরবিডিটি আছে এবং যারা বয়স্ক তাদের জন্য এটা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। মাত্র ২৭ থেকে ২৮ শতাংশ মানুষ কোভিড টিকার সতর্কতামূলক ডোজ নিয়েছেন। আমরা বাকিদের, বিশেষ করে প্রবীণ নাগরিকদের সতর্কতামূলক ডোজ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। সতর্কতামূলক   ডোজ নেওয়া বাধ্যতামূলক, এই নির্দেশ সকলকে মেনে চলতে হবে।”

মঙ্গলবারই, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি পাঠিয়ে জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। নমুনা, জিনোম সিকোয়েন্সিং ল্যাবরেটরিগুলিতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে চিনে ইতিমধ্যেই শয্যা বাড়িয়ে তোলার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। জিম, বাস্কেট বল কোর্টগুলিতেও শয্যা বাড়ানোর কাজ চলছে। সেই সঙ্গে আলাদা করে জ্বর ক্লিনিক গড়ে তোলার কাজ চলছে। সেখানে জ্বর সহ করোনার অন্যান্য উপসর্গ পরীক্ষা করে দেখা হবে। এই পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করেই করোনা নিয়ে ফের সতর্ক হল কেন্দ্র।