১৮ এপ্রিল ২০২৫, শুক্রবার, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কুনো অভয়ারণ্যে শেষ দুটি চিতার মৃত্যুর কারণ জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৬ অগাস্ট ২০২৩, রবিবার
  • / 5

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে একের পর এক চিতার মৃত্যুতে শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, এই মুহূর্তে কুনো ন্যাশনাল পার্ক (কেএনপি) থেকে চিতাদের অন্যত্র স্থানান্তরের কোনও রকম পরিকল্পনা নেই। সেই সঙ্গে মন্ত্রীর দাবি, বর্ষায় পোকামাকড়ের সংক্রমণে শেষ ২টি চিতার মারা গেছে।

শনিবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, সরকার এই প্রকল্পের সংবেদনশীলতার কথা বিচার করে চিতার বসতি স্থাপনের প্রকল্পে সম্পূর্ণ সফলতা চায়। চলতি বছরের মার্চে ৯টি চিতার মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি শাবক। বন দফতরের কর্মী ও পশু চিকিৎসকেরা চিতাগুলিকে ভালো রাখার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছেন। মন্ত্রী আরও জানান, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে এই বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নামিবিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে চিতাগুলিকে এই কুনো অভয়ারণ্যে আনা হয়েছিল। চিতাগুলি যাতে এই ধরনের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে, তার জন্য ক্রমাগত কাজ চলছে। সরকারের তরফে একটি দীর্ঘ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে প্রকল্পটি সম্পূর্ণ সফল হবে’।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর নামিবিয়া থেকে কেএনপিতে ৮টি চিতা আনা হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ১২টি চিতা আসে। ৯টির চিতার মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৪টি শাবকের মধ্যে ৩টি মারা যায়। সর্বশেষ চিতার মৃত্যু হয় ২ আগস্ট। শাবক মিলিয়ে এখন ১৫টি চিতা জীবিত আছে।

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কুনো অভয়ারণ্যে শেষ দুটি চিতার মৃত্যুর কারণ জানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব

আপডেট : ৬ অগাস্ট ২০২৩, রবিবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক : মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে একের পর এক চিতার মৃত্যুতে শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, এই মুহূর্তে কুনো ন্যাশনাল পার্ক (কেএনপি) থেকে চিতাদের অন্যত্র স্থানান্তরের কোনও রকম পরিকল্পনা নেই। সেই সঙ্গে মন্ত্রীর দাবি, বর্ষায় পোকামাকড়ের সংক্রমণে শেষ ২টি চিতার মারা গেছে।

শনিবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, সরকার এই প্রকল্পের সংবেদনশীলতার কথা বিচার করে চিতার বসতি স্থাপনের প্রকল্পে সম্পূর্ণ সফলতা চায়। চলতি বছরের মার্চে ৯টি চিতার মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে তিনটি শাবক। বন দফতরের কর্মী ও পশু চিকিৎসকেরা চিতাগুলিকে ভালো রাখার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছেন। মন্ত্রী আরও জানান, গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে এই বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নামিবিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে চিতাগুলিকে এই কুনো অভয়ারণ্যে আনা হয়েছিল। চিতাগুলি যাতে এই ধরনের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে, তার জন্য ক্রমাগত কাজ চলছে। সরকারের তরফে একটি দীর্ঘ প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। আমরা আত্মবিশ্বাসী যে প্রকল্পটি সম্পূর্ণ সফল হবে’।

উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর নামিবিয়া থেকে কেএনপিতে ৮টি চিতা আনা হয়। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ১২টি চিতা আসে। ৯টির চিতার মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৪টি শাবকের মধ্যে ৩টি মারা যায়। সর্বশেষ চিতার মৃত্যু হয় ২ আগস্ট। শাবক মিলিয়ে এখন ১৫টি চিতা জীবিত আছে।