১৬ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মোদির আসন্ন আমেরিকা সফর ঘিরে অস্থিরতা! ‘মোদি নট ওয়েলকাম’, বলে সরব মার্কিন মানবধিকার গোষ্ঠীগুলি

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৬ জুন ২০২৩, শুক্রবার
  • / 6

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরকে ঘিরে উচ্ছ্বাসের পারদ তৈরি হওয়ার পাশাপাশি এক রাজনৈতিক অস্থিরতার আবহ তৈরি হয়েছে। ২০ তারিখ আমেরিকা রওনা হওয়ার কথা মোদির। নরেন্দ্র মোদির এই সফরকে ‘ঐতিহাসিক সফর’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। কারণ এই সফরে ভারত তিনশো কোটি ডলার মূল্যের তিরিশটি হামলাকারী ড্রোন কেনার চুক্তি করবে জো বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে। পাশাপাশি, সমুদ্রপথে নজরদারির জন্য তৈরি ড্রোন (সি গার্ডিয়ান) আমেরিকা থেকে লিজে নেওয়া ছিল ভারতের। তার মেয়াদ ফুরিয়ে যাচ্ছে আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে। সেই মেয়াদ বাড়ানো নিয়েও ওই সফরে চুক্তি হবে।

 

এদিকে মোদির সফরকালে ভারতের মানবধিকার পরিস্থিতির অবনতির কথা তুলে সরব হওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে মার্কিন অধিকার গোষ্ঠীগুলি। আগামী ২২ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই দিনই হোয়াইট হাউসের সামনে সমাবেশ করার পরিকল্পনা করেছে ইন্ডিয়ান আমেরিকান মুসলিম কাউন্সিল, পিস অ্যাকশন, ভেটেরান্স ফর পিস এবং বেথেসডা আফ্রিকান সিমেট্রি কোয়ালিশন।

তবে মোদির এই সফর নিয়ে উচ্ছ্বসিত জো বাইডেন। আসন্ন সফরটিকে ‘ঐতিহাসিক’ হিসেবে তুলে ধরতে কসুর করছে না ভারত এবং আমেরিকা দুই পক্ষই। তবে এই সফরকে ভালো চোখে দেখছে না চিন। আবার দুই দেশের মধ্যে এই সখ্যতা মানবধিকারের উদ্বেগকে ছাপিয়ে যাবে বলে উদ্বিগ্ন মার্কিন অধিকার গোষ্ঠীগুলি। ইতিমধ্যেই দলগুলি একটি প্ল্যাকার্ড তৈরি করেছে, যেখানে লেখা আছে “মোদি নট ওয়েলকাম” এবং “হিন্দু আধিপত্য থেকে ভারতকে বাঁচাও।” দলগুলি টেক্সাসে একটি জনসমাবেশ করে সেখানে একটি নাটক মঞ্চস্থ করার পরিকল্পনা নিয়েছে। ২০১৯ সালে ‘হাউদি মোদি’তে একই মঞ্চে ছিলেন মোদি ও তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখেই নাটকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘হাউদি গণতন্ত্র’। প্রতিবাদের অংশ হিসেবে অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার ওপর তৈরি হওয়া বিবিসি তথ্যচিত্র দেখার জন্য নীতি নির্ধারক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীদের আহবান জানিয়েছেন। দুদেশের পারস্পরিক বোঝাপড়ার পরিস্থিতিতে এই ধরনের রাজনৈতিক বাতাবরণ নিয়ে উদ্বিগ্ন কূটনীতিবিদরা।

তবে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মোদির এই সফর নয়া ইতিহাস রচনা করবে বলেই আশাবাদি ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি। শিল্প, বাণিজ্য সহ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মোদির আসন্ন আমেরিকা সফর ঘিরে অস্থিরতা! ‘মোদি নট ওয়েলকাম’, বলে সরব মার্কিন মানবধিকার গোষ্ঠীগুলি

আপডেট : ১৬ জুন ২০২৩, শুক্রবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরকে ঘিরে উচ্ছ্বাসের পারদ তৈরি হওয়ার পাশাপাশি এক রাজনৈতিক অস্থিরতার আবহ তৈরি হয়েছে। ২০ তারিখ আমেরিকা রওনা হওয়ার কথা মোদির। নরেন্দ্র মোদির এই সফরকে ‘ঐতিহাসিক সফর’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে। কারণ এই সফরে ভারত তিনশো কোটি ডলার মূল্যের তিরিশটি হামলাকারী ড্রোন কেনার চুক্তি করবে জো বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে। পাশাপাশি, সমুদ্রপথে নজরদারির জন্য তৈরি ড্রোন (সি গার্ডিয়ান) আমেরিকা থেকে লিজে নেওয়া ছিল ভারতের। তার মেয়াদ ফুরিয়ে যাচ্ছে আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে। সেই মেয়াদ বাড়ানো নিয়েও ওই সফরে চুক্তি হবে।

 

এদিকে মোদির সফরকালে ভারতের মানবধিকার পরিস্থিতির অবনতির কথা তুলে সরব হওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে মার্কিন অধিকার গোষ্ঠীগুলি। আগামী ২২ জুন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই দিনই হোয়াইট হাউসের সামনে সমাবেশ করার পরিকল্পনা করেছে ইন্ডিয়ান আমেরিকান মুসলিম কাউন্সিল, পিস অ্যাকশন, ভেটেরান্স ফর পিস এবং বেথেসডা আফ্রিকান সিমেট্রি কোয়ালিশন।

তবে মোদির এই সফর নিয়ে উচ্ছ্বসিত জো বাইডেন। আসন্ন সফরটিকে ‘ঐতিহাসিক’ হিসেবে তুলে ধরতে কসুর করছে না ভারত এবং আমেরিকা দুই পক্ষই। তবে এই সফরকে ভালো চোখে দেখছে না চিন। আবার দুই দেশের মধ্যে এই সখ্যতা মানবধিকারের উদ্বেগকে ছাপিয়ে যাবে বলে উদ্বিগ্ন মার্কিন অধিকার গোষ্ঠীগুলি। ইতিমধ্যেই দলগুলি একটি প্ল্যাকার্ড তৈরি করেছে, যেখানে লেখা আছে “মোদি নট ওয়েলকাম” এবং “হিন্দু আধিপত্য থেকে ভারতকে বাঁচাও।” দলগুলি টেক্সাসে একটি জনসমাবেশ করে সেখানে একটি নাটক মঞ্চস্থ করার পরিকল্পনা নিয়েছে। ২০১৯ সালে ‘হাউদি মোদি’তে একই মঞ্চে ছিলেন মোদি ও তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই প্রেক্ষাপটকে সামনে রেখেই নাটকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘হাউদি গণতন্ত্র’। প্রতিবাদের অংশ হিসেবে অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গার ওপর তৈরি হওয়া বিবিসি তথ্যচিত্র দেখার জন্য নীতি নির্ধারক, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবীদের আহবান জানিয়েছেন। দুদেশের পারস্পরিক বোঝাপড়ার পরিস্থিতিতে এই ধরনের রাজনৈতিক বাতাবরণ নিয়ে উদ্বিগ্ন কূটনীতিবিদরা।

তবে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে মোদির এই সফর নয়া ইতিহাস রচনা করবে বলেই আশাবাদি ভারতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি। শিল্প, বাণিজ্য সহ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।