০২ মে ২০২৫, শুক্রবার, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তিউনিসিয়ার সংসদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম , প্রেসিডেন্ট কাইস সাঈদের পদত্যাগ দাবি

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২২, রবিবার
  • / 15

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ শনিবার তিউনিসিয়ায় সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ভোট পড়েছে হয়েছে মাত্র ৮.৮ শতাংশ। দেশটির ইতিহাসে এরকম নির্বাচন নজিরবিহীন। রাজনৈতিক দলগুলো ভোট বয়কট করায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিরোধী জোট সালভেশন ফ্রন্ট একনায়ক প্রেসিডেন্ট কাইস সাঈদের পদত্যাগ দাবি করেছে।

 

তারা প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে দেশটির গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ধ্বংস করার অভিযোগ তুলেছেন। দেশটির জনগণ ও রাজনৈতিক দলের নেতারা সাঈদের মতো নেতাকে নিয়ে বিরক্ত। বিরোধী দলগুলোর জোট সাভেশন ফ্রন্ট শনিবারের নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেয়। এই জোটে দেশটির সবচেয়ে জনপ্রিয় ইসলামিক রাজনৈতিক দল এন্নাহদা রয়েছে।

 

জোট নেতারা বলেছেন, প্রেসিডেন্ট তার ক্ষমতা আরও কুক্ষিগত করতে এই নির্বচনের আয়োজন করেছেন। এটি তার ঘৃণ্য প্রচেষ্টা বাস্তবায়নের অংশ। শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এবারের ভোটে ২০১৪ ও ২০১৯ সালের আইনসভা নির্বাচনের তুলনায় ভোটার উপস্থিতি একেবারেই নগন্য। সালভেশন ফ্রন্ট জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট সাঈদকে তার পদ থেকে সরে যেতে হবে। জোটটির দাবি, কম ভোটার উপস্থিতির ফলে সাঈদ বৈধতা হারিয়েছেন।

 

ভোটগ্রহণের সময় সাংবাদিকরা ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করেছেন। তারা তিউনিসের আশপাশে বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের সারি দেখতে পেয়েছেন। প্রাক্তন এমপি সাইদা ওউনিসি বলেন, !যা ঘটল তা নির্বাচন নয়। এটাকে নির্বাচন বলা লজ্জার।’ এন্নাহদা দল থেকে নির্বাচিত ওউনিসি দেশটির মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘দেশ এখন অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি। এর পেছনে কোভিড মহামারি এবং ইউক্রেন যুদ্ধ রয়েছে। প্রেসিডেন্ট সাঈদের প্রতি জনগণ ক্ষুব্ধ। তিনি গণতন্ত্র ব্যাহত করে নিজ ক্ষমতাকে আরও পাকাপোক্ত করতে চান।’

Copyright © 2025 Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

তিউনিসিয়ার সংসদ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম , প্রেসিডেন্ট কাইস সাঈদের পদত্যাগ দাবি

আপডেট : ১৮ ডিসেম্বর ২০২২, রবিবার

পুবের কলম ওয়েব ডেস্কঃ শনিবার তিউনিসিয়ায় সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ভোট পড়েছে হয়েছে মাত্র ৮.৮ শতাংশ। দেশটির ইতিহাসে এরকম নির্বাচন নজিরবিহীন। রাজনৈতিক দলগুলো ভোট বয়কট করায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিরোধী জোট সালভেশন ফ্রন্ট একনায়ক প্রেসিডেন্ট কাইস সাঈদের পদত্যাগ দাবি করেছে।

 

তারা প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে দেশটির গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ধ্বংস করার অভিযোগ তুলেছেন। দেশটির জনগণ ও রাজনৈতিক দলের নেতারা সাঈদের মতো নেতাকে নিয়ে বিরক্ত। বিরোধী দলগুলোর জোট সাভেশন ফ্রন্ট শনিবারের নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেয়। এই জোটে দেশটির সবচেয়ে জনপ্রিয় ইসলামিক রাজনৈতিক দল এন্নাহদা রয়েছে।

 

জোট নেতারা বলেছেন, প্রেসিডেন্ট তার ক্ষমতা আরও কুক্ষিগত করতে এই নির্বচনের আয়োজন করেছেন। এটি তার ঘৃণ্য প্রচেষ্টা বাস্তবায়নের অংশ। শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এবারের ভোটে ২০১৪ ও ২০১৯ সালের আইনসভা নির্বাচনের তুলনায় ভোটার উপস্থিতি একেবারেই নগন্য। সালভেশন ফ্রন্ট জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট সাঈদকে তার পদ থেকে সরে যেতে হবে। জোটটির দাবি, কম ভোটার উপস্থিতির ফলে সাঈদ বৈধতা হারিয়েছেন।

 

ভোটগ্রহণের সময় সাংবাদিকরা ভোটকেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করেছেন। তারা তিউনিসের আশপাশে বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের সারি দেখতে পেয়েছেন। প্রাক্তন এমপি সাইদা ওউনিসি বলেন, !যা ঘটল তা নির্বাচন নয়। এটাকে নির্বাচন বলা লজ্জার।’ এন্নাহদা দল থেকে নির্বাচিত ওউনিসি দেশটির মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘দেশ এখন অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক সংকটের মুখোমুখি। এর পেছনে কোভিড মহামারি এবং ইউক্রেন যুদ্ধ রয়েছে। প্রেসিডেন্ট সাঈদের প্রতি জনগণ ক্ষুব্ধ। তিনি গণতন্ত্র ব্যাহত করে নিজ ক্ষমতাকে আরও পাকাপোক্ত করতে চান।’