সবার জন্য নিরাপদ দেশ গড়তে চাই: ট্রুডো

- আপডেট : ২৮ জানুয়ারী ২০২৩, শনিবার
- / 9
পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক: কানাডায় ইসলামফোবিয়া মোকাবিলায় প্রথমবারের মতো একজন বিশেষ প্রতিনিধিকে নিয়োগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। কানাডার ফেডারেল সরকারের পরামর্শক হিসেবে আমিরাহ আল-গাওয়াবিকে নিয়োগের ঘোষণা করা হয়। তিনি একজন মানবাধিকার আইনজীবী। আমিরাহ আল-গাওয়াবির কাজ হল কানাডায় বসবাসরত মুসলিমদের বর্ণবাদ, জাতিগত বৈষম্য এবং ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা থেকে নিরাপত্তা দেওয়া ও সবধরনের ইসলামোফোবিয়া প্রতিরোধ করা।
প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো বলেছেন, আমাদের দেশে বিশ্বাসের কারণে কোনও ব্যক্তিরই ঘৃণা অনুভব করা উচিত নয়। তাই ইসলামভীতি মোকাবিলায় কানাডার প্রথম বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে আল-গাওয়াবিকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ইসলামভীতি ও সব ধরনের ঘৃণার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এটি। আমি তার সাথে কাজ শুরু করতে চলেছি। আমরা এমন একটি দেশ গড়তে চাই, যেখানে সবাই নিরাপদ ও সম্মানিত বোধ করে।’
কানাডার মুসলিমদের নিরাপত্তায় বিভিন্ন সরকারি নীতি ও আইন প্রণয়ন এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনে সহায়তাসহ নানা ধরনের কাজে পরামর্শ দিয়ে সরকারকে সহযোগিতা করাই আল-গাওয়াবির প্রধান দায়িত্ব। এর আগে জুন মাসে ইসলামফোবিয়া বিষয়ক প্রতিনিধি নিয়োগের ঘোষণা করেছিল কানাডার সরকার।
গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বগ্রহণের পর আল-গাওয়াবি বলেন, আমি কানাডার মুসলিমদের কণ্ঠস্বর হয়ে এবং সব ধরনের বৈষম্য ও ঘৃণার বিরুদ্ধে একসাথে কাজ করার লক্ষ্যে সারা দেশে নির্বাচিত কর্মকর্তা, নীতিনির্ধারক এবং সম্প্রদায়ের নেতাদের সাথে সাক্ষাতের অপেক্ষায় রয়েছি। আশা করি, আমরা এই সময় কানাডার মুসলিম সম্প্রদায়ের সমৃদ্ধিসহ এই দেশের বৈচিত্র্যকে সবার সামনে তুলে ধরার সুযোগ পাব।’
আমিরা আল-গাওয়াবি বর্তমানে কানাডিয়ান রেস রিলেশনস ফাউন্ডেশনের জনসংযোগ বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ করছেন। কার্লটন ইউনিভার্সিটি থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতক শেষ করে সিবিসি সংবাদমাধ্যমে কিছুদিন কাজ করেন। বর্তমানে দ্য টরন্টো স্টার সংবাদপত্রে লেখালেখি করেন তিনি। মানবাধিকার ইস্যুতে কানাডার শ্রমিক আন্দোলনের সাথে কাজের পাশাপাশি দ্য ন্যাশনাল কাউন্সিল অব কানাডিয়ান মুসলিমস (এনসিসিএম)-এ নাগরিক স্বাধীনতা প্রচারে ৫ বছর কাজ করেছেন তিনি। আল-গাওয়াবিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে দ্য ন্যাশনাল কাউন্সিল অব কানাডিয়ান মুসলিমস-এর সিইও স্টিফেন ব্রাউন বলেছেন, ‘এই প্রথম ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কানাডা সরকার একটি স্থায়ী উদ্যোগ নিয়েছে। এটি আমাদের জন্য সত্যিই অসাধারণ মুহূর্ত। এখন আমাদের কর্তব্য হল, আমরা যেন পরিবর্তনের চেষ্টায় একে অপরকে সাহায্য করি।’