১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভুমিকম্পন্ন প্রবণ এলাকা পার্কস্ট্রিট এর ভবিষ্যৎ কি!

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৩ জুন ২০২৩, মঙ্গলবার
  • / 6

পুবের কলম প্রতিবেদক: ‘নিহিত পরিবেশ পায় না বিচার।’ গল্পের বইয়ে লেখা কাব্য যেন বর্তমানে সত্যি হয়ে গেছে। জনবসতি বাড়ার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শহরের দূষণের মাত্রা। বর্তমানে তা না রোখা সম্ভব হলে যা আগামী প্রজন্মের জন্য ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। উষ্ণায়ন এর মাত্রা বেড়ে গেলে ভূমিকম্পের মতো বিপর্যয় বেশি করে ঘটতে থাকবে। বর্তমানে দেশের মধ্যে যে সমস্ত শহর বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে তারমধ্যে রয়েছে কলকাতা।

পৃথিবীর উপর এত অত্যাচার হয়েছে যে, পৃথিবীও এখন অস্বাভাবিক আচরণ করছে মাঝে-মাঝে। বেড়েছে অস্বাভাবিক গরম, তারসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বদলিয়েছে ঝড় বৃষ্টির সময়। একইসঙ্গে ভূমিকম্পের পরিমাণ এবং ব্যাপ্তি হঠাত্ই যেন বেড়ে গিয়েছে অনেকটা। এখন প্রায়ই দুলে ওঠে পায়ের নিচের মাটি। কখনও উত্সস্থল নেপাল, কখনও বা আফাগানিস্থান। তার আঁচ এসে পৌঁছয় কলকাতাতেও।

২০১৬ সালের একটি সমীক্ষার রিপোর্টে দেখা গিয়েছিল, ভারতের মধ্যে ভূমিকম্পন প্রবণ এলাকার মধ্যে রয়েছে কলকাতা। সেক্ষেত্রে তিলোত্তমায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে পার্কস্ট্রিট। এরপরেই রয়েছে, কালীঘাট, শ্যামবাজার, বেলুড়, আলিপুর, দমদম, রাজডাঙা, রাজারহাট, নিউটাউন, সল্টলেক।

বর্তমানে দূষণের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে দিল্লি। তবে খুব একটা পিছিয়ে নেই কলকাতা। জনসংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাজ্যে ক্রমশই বেড়েছে দূষণের মাত্রা। মূলত যেকোনও মেট্রো শহরেই দূষণের নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে যানবাহন। এই অবস্থায় সব ধরনের জ্বালানির দূষণ পরীক্ষার জন্য নতুন যন্ত্র হাতে পাচ্ছে কলকাতা পুলিশ।

 

বর্তমানে কলকাতা পুলিশের হাতে যে দূষণ পরীক্ষার যন্ত্র রয়েছে, তা দিয়ে শুধুমাত্র ডিজ়েল-চালিত গাড়িই পরীক্ষা করা যায়। তাই এবার এবার ডিজ়েলের পাশাপাশি পেট্রল, এলপিজি এবং সিএনজি-চালিত গাড়ির দূষণ পরীক্ষার জন্য নতুন যন্ত্র চাইছে লালবাজার। এই নতুন যন্ত্র দিয়ে সব ধরনের জ্বালানির দূষণ পরীক্ষা করা যাবে। কলকাতা পুরসভার তরফে এই নতুন যন্ত্র তুলে দেওয়া হবে কলকাতা পুলিশের হাতে। একইসঙ্গে গোড়া থেকে দূষণ নির্মূল করার জন্য উৎস খোঁজার কাজে নেমে পড়েছে কলকাতা পুরসভা। তবে তার আগে চলবে শহরের সবুজায়ন বৃদ্ধি করার কাজ। তার জন্য আগামী ১ বছরে ২৫ লক্ষ গাছ লাগানোর অঙ্গীকার নিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।

 


                            

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

ভুমিকম্পন্ন প্রবণ এলাকা পার্কস্ট্রিট এর ভবিষ্যৎ কি!

আপডেট : ১৩ জুন ২০২৩, মঙ্গলবার

পুবের কলম প্রতিবেদক: ‘নিহিত পরিবেশ পায় না বিচার।’ গল্পের বইয়ে লেখা কাব্য যেন বর্তমানে সত্যি হয়ে গেছে। জনবসতি বাড়ার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শহরের দূষণের মাত্রা। বর্তমানে তা না রোখা সম্ভব হলে যা আগামী প্রজন্মের জন্য ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। উষ্ণায়ন এর মাত্রা বেড়ে গেলে ভূমিকম্পের মতো বিপর্যয় বেশি করে ঘটতে থাকবে। বর্তমানে দেশের মধ্যে যে সমস্ত শহর বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে তারমধ্যে রয়েছে কলকাতা।

পৃথিবীর উপর এত অত্যাচার হয়েছে যে, পৃথিবীও এখন অস্বাভাবিক আচরণ করছে মাঝে-মাঝে। বেড়েছে অস্বাভাবিক গরম, তারসঙ্গে পাল্লা দিয়ে বদলিয়েছে ঝড় বৃষ্টির সময়। একইসঙ্গে ভূমিকম্পের পরিমাণ এবং ব্যাপ্তি হঠাত্ই যেন বেড়ে গিয়েছে অনেকটা। এখন প্রায়ই দুলে ওঠে পায়ের নিচের মাটি। কখনও উত্সস্থল নেপাল, কখনও বা আফাগানিস্থান। তার আঁচ এসে পৌঁছয় কলকাতাতেও।

২০১৬ সালের একটি সমীক্ষার রিপোর্টে দেখা গিয়েছিল, ভারতের মধ্যে ভূমিকম্পন প্রবণ এলাকার মধ্যে রয়েছে কলকাতা। সেক্ষেত্রে তিলোত্তমায় সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় রয়েছে পার্কস্ট্রিট। এরপরেই রয়েছে, কালীঘাট, শ্যামবাজার, বেলুড়, আলিপুর, দমদম, রাজডাঙা, রাজারহাট, নিউটাউন, সল্টলেক।

বর্তমানে দূষণের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে দিল্লি। তবে খুব একটা পিছিয়ে নেই কলকাতা। জনসংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাজ্যে ক্রমশই বেড়েছে দূষণের মাত্রা। মূলত যেকোনও মেট্রো শহরেই দূষণের নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে যানবাহন। এই অবস্থায় সব ধরনের জ্বালানির দূষণ পরীক্ষার জন্য নতুন যন্ত্র হাতে পাচ্ছে কলকাতা পুলিশ।

 

বর্তমানে কলকাতা পুলিশের হাতে যে দূষণ পরীক্ষার যন্ত্র রয়েছে, তা দিয়ে শুধুমাত্র ডিজ়েল-চালিত গাড়িই পরীক্ষা করা যায়। তাই এবার এবার ডিজ়েলের পাশাপাশি পেট্রল, এলপিজি এবং সিএনজি-চালিত গাড়ির দূষণ পরীক্ষার জন্য নতুন যন্ত্র চাইছে লালবাজার। এই নতুন যন্ত্র দিয়ে সব ধরনের জ্বালানির দূষণ পরীক্ষা করা যাবে। কলকাতা পুরসভার তরফে এই নতুন যন্ত্র তুলে দেওয়া হবে কলকাতা পুলিশের হাতে। একইসঙ্গে গোড়া থেকে দূষণ নির্মূল করার জন্য উৎস খোঁজার কাজে নেমে পড়েছে কলকাতা পুরসভা। তবে তার আগে চলবে শহরের সবুজায়ন বৃদ্ধি করার কাজ। তার জন্য আগামী ১ বছরে ২৫ লক্ষ গাছ লাগানোর অঙ্গীকার নিয়েছেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।