ঢাকা, ১২ জানুয়ারি: আয়নাঘর আওয়ামী সরকারের আইয়ামে জাহেলিয়াত এর একটা নমুনা বলে মন্তব্য করেছেন মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলের গোপন বন্দিশালা ঘুরে দেখেন প্রধান উপদেষ্টা। ‘আয়নাঘর’ নামে কুখ্যাতি পাওয়া তিনটি বন্দিশালার বিভিন্ন গোপন কক্ষ পরিদর্শন করেন তিনি। সেই সময় ঢাকার আগারগাঁওয়ের একটি নির্যাতনকেন্দ্রে ব্যবহৃত একটি বৈদ্যুতিক চেয়ার দেখানো হয় প্রধান উপদেষ্টাকে। অভিযোগ, হাসিনার আমলে কেউ সরকার বা আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করলেই তাঁদের গ্রেফতার করা হত। সরকার এমন গোপন বন্দিশালা তৈরি করেছিল, যেখানে ধৃত ব্যক্তিদের বিনা বিচারে দিনের পর দিন আটকে রাখা হত।
এদিন ইউনূসের সঙ্গে ছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ সংক্রান্ত উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রকের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, গৃহ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। এ ছাড়াও ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। গত জুলাই মাসে আন্দোলনের সময় সাদা পোশাকে তুলে নেওয়ার পর ডিজিএফআইয়ের টর্চারসেলে যে কামরাতে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে রাখা হয়েছিল, সেগুলো তারা সেই সেলগুলো চিনতে পারেন ।
এদিন আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সামনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘নৃশংস অবস্থা, যতটা শুনি অবিশ্বাস্য মনে হয়, এটা কি আমাদের জগৎ, আমাদের সমাজ।’ তিনি আরও বলেন, ‘যারা নিগৃহীত হয়েছে, যারা এটার শিকার হয়েছে, তারাও আমাদের সঙ্গে আছে এখানে, তাদেরর মুখে থেকে শুনলাম কি হয়েছে। এরকম টর্চার সেল সারা বাংলাদেশ জুড়ে আছে। বিগত সরকার আইয়ামে জাহেলিয়াতকে প্রতিষ্ঠিত করে গেছে সর্বক্ষেত্রে। এটা তার একটা নমুনা। আমরা দেশের অবনতির চূড়ান্ত যে রূপ দেখলাম সর্বক্ষেত্রে। এটা তার একটা প্রতিচ্ছবি।’