১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কেন ৫ জন কনেযাত্রী বেশি! বিয়েবাড়িতে ধুন্ধুমার, মার খেলেন নববধূও

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২৩, সোমবার
  • / 2

আহতের ছবি-(তথাগত চক্রবর্তী)

কৌশিক সালুই, বীরভূম:- মাত্র পাঁচ জন কনে যাত্রী বেশি হওয়ায় রক্তারক্তি ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল বরপক্ষের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের সদাইপুর থানার গুণসীমা গ্রামে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ জামাই শ্বশুর সহ চারজন আত্মীয়কে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের সোমবার আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার দুবরাজপুর থানার শিমুলডি গ্রামের সুরাইয়া খাতুনের সঙ্গে সদাইপুর থানার গুলসীমা গ্রামের শেখ আতিকুল এর বিয়ে হয়। রবিবার ছিল বৌভাত সেইমতো সুরাইয়ার পরিবার দুপুরে ৩০ জন কনে যাত্রী নিয়ে  জামাইয়ের বাড়িতে হাজির হন।  আর ঠিক গোল বাঁধলো এই সময়। ২৫ জন নিয়ে আসার কথা থাকলেও কেন পাঁচ জন বেশি আনা হয়েছে। ভোজের খাবার দাবার কম হয়ে যাবে ওই পাঁচ জনের জন্য। এই নিয়েই কনে পক্ষের সঙ্গে প্রথমে বচসা তারপর হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

কেন ৫ জন কনেযাত্রী বেশি! বিয়েবাড়িতে ধুন্ধুমার, মার খেলেন নববধূও

অভিযোগ বরপক্ষের লাঠি সোটার আঘাতে কনের দাদা বৌদি সহ বেশ কয়েকজন গুরুতর জখম হন। পাশাপাশি কয়েকজন মহিলারও শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ ও উঠেছে জামাই আতিকুল তার বাবা সহ পরিবারের বিরুদ্ধে। বরপক্ষের মারে বাদ গেল না নববধূ সুরাইয়াও। গুরুতর যখন অবস্থায় প্রথমে তাদেরকে দুবরাজপুর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয় সেখান থেকে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করা হয়।এদিকে জামাই শশুর শাশুড়ি সহ 9 জন এর বিরুদ্ধে সদাইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কনের দাদা শেখ আবুল হোসেন। অভিযোগের ভিত্তিতে চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি পাঁচজন পলাতক।

কেন ৫ জন কনেযাত্রী বেশি! বিয়েবাড়িতে ধুন্ধুমার, মার খেলেন নববধূও

ধৃতদের এদিন সিউড়ি আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। দাদা শেখ আবুল হোসেন বলেন,” মাত্র ৫ জন কনেযাত্রী বেশি নিয়ে যাওয়ায় আমাদেরকে ব্যাপক মারধর করেছে। পাশাপাশি আমাদের কয়েকজন মহিলার শ্লীলতাহানি করেছে জামাই ও তার পরিবারের লোকজন। অথচ বরযাত্রী ৫০ জনের কথা হলেও ৮৫ জন নিয়ে গিয়েছিল আমরা সে বিষয়ে কোন কিছু তাদেরকে মন্তব্য করিনি”।
সুরাইয়া খাতুন বলেন,” যে পরিবারের সঙ্গে বাকি জীবন আমাকে কাটাতে হবে তাদের যদি আচার-আচরণ এরকম হয় তাহলে কোন ভাবেই আমার পক্ষে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে থাকা সম্ভব নয়”।

 



Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

কেন ৫ জন কনেযাত্রী বেশি! বিয়েবাড়িতে ধুন্ধুমার, মার খেলেন নববধূও

আপডেট : ১৭ জুলাই ২০২৩, সোমবার

কৌশিক সালুই, বীরভূম:- মাত্র পাঁচ জন কনে যাত্রী বেশি হওয়ায় রক্তারক্তি ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল বরপক্ষের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের সদাইপুর থানার গুণসীমা গ্রামে। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ জামাই শ্বশুর সহ চারজন আত্মীয়কে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের সোমবার আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত শনিবার দুবরাজপুর থানার শিমুলডি গ্রামের সুরাইয়া খাতুনের সঙ্গে সদাইপুর থানার গুলসীমা গ্রামের শেখ আতিকুল এর বিয়ে হয়। রবিবার ছিল বৌভাত সেইমতো সুরাইয়ার পরিবার দুপুরে ৩০ জন কনে যাত্রী নিয়ে  জামাইয়ের বাড়িতে হাজির হন।  আর ঠিক গোল বাঁধলো এই সময়। ২৫ জন নিয়ে আসার কথা থাকলেও কেন পাঁচ জন বেশি আনা হয়েছে। ভোজের খাবার দাবার কম হয়ে যাবে ওই পাঁচ জনের জন্য। এই নিয়েই কনে পক্ষের সঙ্গে প্রথমে বচসা তারপর হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।

কেন ৫ জন কনেযাত্রী বেশি! বিয়েবাড়িতে ধুন্ধুমার, মার খেলেন নববধূও

অভিযোগ বরপক্ষের লাঠি সোটার আঘাতে কনের দাদা বৌদি সহ বেশ কয়েকজন গুরুতর জখম হন। পাশাপাশি কয়েকজন মহিলারও শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ ও উঠেছে জামাই আতিকুল তার বাবা সহ পরিবারের বিরুদ্ধে। বরপক্ষের মারে বাদ গেল না নববধূ সুরাইয়াও। গুরুতর যখন অবস্থায় প্রথমে তাদেরকে দুবরাজপুর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয় সেখান থেকে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করা হয়।এদিকে জামাই শশুর শাশুড়ি সহ 9 জন এর বিরুদ্ধে সদাইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কনের দাদা শেখ আবুল হোসেন। অভিযোগের ভিত্তিতে চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি পাঁচজন পলাতক।

কেন ৫ জন কনেযাত্রী বেশি! বিয়েবাড়িতে ধুন্ধুমার, মার খেলেন নববধূও

ধৃতদের এদিন সিউড়ি আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। দাদা শেখ আবুল হোসেন বলেন,” মাত্র ৫ জন কনেযাত্রী বেশি নিয়ে যাওয়ায় আমাদেরকে ব্যাপক মারধর করেছে। পাশাপাশি আমাদের কয়েকজন মহিলার শ্লীলতাহানি করেছে জামাই ও তার পরিবারের লোকজন। অথচ বরযাত্রী ৫০ জনের কথা হলেও ৮৫ জন নিয়ে গিয়েছিল আমরা সে বিষয়ে কোন কিছু তাদেরকে মন্তব্য করিনি”।
সুরাইয়া খাতুন বলেন,” যে পরিবারের সঙ্গে বাকি জীবন আমাকে কাটাতে হবে তাদের যদি আচার-আচরণ এরকম হয় তাহলে কোন ভাবেই আমার পক্ষে শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে থাকা সম্ভব নয়”।