১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৩ বছরের মধ্যে চিন-অস্ট্রেলিয়া যুদ্ধের আশঙ্কা বিশ্লেষকদের! ‘রেড অ্যালার্ট’ রিপোর্ট 

ইমামা খাতুন
  • আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২৩, সোমবার
  • / 9

বিশেষ প্রতিবেদন: অস্ট্রেলিয়ার কয়েকটি সংবাদপত্র সম্মিলিতভাবে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। রিপার্টে সতর্ক করে লেখা, আগামী ৩ বছরের মধ্যেই চিনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে অস্ট্রেলিয়া। ‘দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড’ ও ‘দ্য এজ’ এক রিপোর্টে অস্ট্রেলিয়াকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

তবে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে চিনের সরাসরি যুদ্ধ হবে না বলেই ধারণা। কারণ, তাইওয়ান ইস্যুতে চিন অবস্থান নরম না করলে আমেরিকা বেজিংয়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে, আর ঠিক তখনই মার্কিন জোটের সদস্য হিসাবে অস্ট্রেলিয়া যুদ্ধে জড়াতে পারে। বিশ্লেষকরা বলছেন, অস্ট্রেলিয়া এই মুহূর্তে চিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তৈরি না হলেও দেশটির উচিৎ এ বিষয়ে প্রস্তুতি নিয়ে রাখা।

রিপোর্টে লেখা, ‘তাইওয়ানের ওপর চিনের হামলার বিষয়টি জল্পনার পর্যায়ে থাকলেও এই একটি দিক থেকেই যে অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি হুমকির সম্মুখীন হবে তা নয়। যেকোনও একটি ঘটনার জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রস্তুত থাকা উচিত নয়। পরিবর্তে, দেশটির উচিত বিভিন্ন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলাকে অগ্রাধিকার দেওয়া।

গণতন্ত্রগুলি পরবর্তী যুদ্ধ আঁচ করতে পারে না এবং পরবর্তী যুদ্ধ আগের মতোও হয় না।’ ‘রেড অ্যালার্ট’ রিপোর্টে আরও লেখা, ‘প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের ক্রমাগত সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও আগ্রাসী অবস্থান থেকেই আমরা যুদ্ধের ঝুঁকিগুলি বোঝার চেষ্টা করছি।’ অজি সংবাদপত্রগুলি তাদের রিপোর্টে বলেছে, ৩ বছরের মধ্যেই একটি যুদ্ধ হতে পারে। কারণ তখন তাওয়ান প্রণালীতে আমেরিকার চেয়ে চিনের সামরিক শক্তি বেশি হবে।

রিপোর্টে আরও লেখা, ‘ জিনপিং মনে করেন যে চিনের রাজনৈতিক সংকল্প আমেরিকার ও তার মিত্রদের চেয়ে বেশি। তবে চিনের জনসংখ্যা কমে যাওয়ায় এবং এর অর্থনীতি ধীর হয়ে যাওয়ার বিষয়টিকে ভয় পাওয়া উচিত জিনপিংয়ের। এই সুযোগ বেশি দিনথাকবে না। তাই জিনপিং শি সুযোগ বুঝে আঘাত করতে পারেন। দুর্বল চিনও কম বিপজ্জনক নয়।’ যুদ্ধ শুরু হলে আমেরিকা ও তাইওয়ানকে অস্ট্রেলীয় সরকার  সমর্থন করবে কিনা এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মিক রায়ান বলেন, ‘সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। আমেরিকা যুদ্ধে গেলে আমরাও যাবো।’

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

৩ বছরের মধ্যে চিন-অস্ট্রেলিয়া যুদ্ধের আশঙ্কা বিশ্লেষকদের! ‘রেড অ্যালার্ট’ রিপোর্ট 

আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২৩, সোমবার

বিশেষ প্রতিবেদন: অস্ট্রেলিয়ার কয়েকটি সংবাদপত্র সম্মিলিতভাবে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। রিপার্টে সতর্ক করে লেখা, আগামী ৩ বছরের মধ্যেই চিনের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে অস্ট্রেলিয়া। ‘দ্য সিডনি মর্নিং হেরাল্ড’ ও ‘দ্য এজ’ এক রিপোর্টে অস্ট্রেলিয়াকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

তবে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে চিনের সরাসরি যুদ্ধ হবে না বলেই ধারণা। কারণ, তাইওয়ান ইস্যুতে চিন অবস্থান নরম না করলে আমেরিকা বেজিংয়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে, আর ঠিক তখনই মার্কিন জোটের সদস্য হিসাবে অস্ট্রেলিয়া যুদ্ধে জড়াতে পারে। বিশ্লেষকরা বলছেন, অস্ট্রেলিয়া এই মুহূর্তে চিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে তৈরি না হলেও দেশটির উচিৎ এ বিষয়ে প্রস্তুতি নিয়ে রাখা।

রিপোর্টে লেখা, ‘তাইওয়ানের ওপর চিনের হামলার বিষয়টি জল্পনার পর্যায়ে থাকলেও এই একটি দিক থেকেই যে অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধি হুমকির সম্মুখীন হবে তা নয়। যেকোনও একটি ঘটনার জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রস্তুত থাকা উচিত নয়। পরিবর্তে, দেশটির উচিত বিভিন্ন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলাকে অগ্রাধিকার দেওয়া।

গণতন্ত্রগুলি পরবর্তী যুদ্ধ আঁচ করতে পারে না এবং পরবর্তী যুদ্ধ আগের মতোও হয় না।’ ‘রেড অ্যালার্ট’ রিপোর্টে আরও লেখা, ‘প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের ক্রমাগত সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি ও আগ্রাসী অবস্থান থেকেই আমরা যুদ্ধের ঝুঁকিগুলি বোঝার চেষ্টা করছি।’ অজি সংবাদপত্রগুলি তাদের রিপোর্টে বলেছে, ৩ বছরের মধ্যেই একটি যুদ্ধ হতে পারে। কারণ তখন তাওয়ান প্রণালীতে আমেরিকার চেয়ে চিনের সামরিক শক্তি বেশি হবে।

রিপোর্টে আরও লেখা, ‘ জিনপিং মনে করেন যে চিনের রাজনৈতিক সংকল্প আমেরিকার ও তার মিত্রদের চেয়ে বেশি। তবে চিনের জনসংখ্যা কমে যাওয়ায় এবং এর অর্থনীতি ধীর হয়ে যাওয়ার বিষয়টিকে ভয় পাওয়া উচিত জিনপিংয়ের। এই সুযোগ বেশি দিনথাকবে না। তাই জিনপিং শি সুযোগ বুঝে আঘাত করতে পারেন। দুর্বল চিনও কম বিপজ্জনক নয়।’ যুদ্ধ শুরু হলে আমেরিকা ও তাইওয়ানকে অস্ট্রেলীয় সরকার  সমর্থন করবে কিনা এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মিক রায়ান বলেন, ‘সিদ্ধান্ত হয়ে গিয়েছে। আমেরিকা যুদ্ধে গেলে আমরাও যাবো।’