০২ এপ্রিল ২০২৫, বুধবার, ১৯ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুদির দোকানে মদ বিক্রি বন্ধ করল গ্রামের মহিলারা

সুস্মিতা
  • আপডেট : ৩১ মার্চ ২০২৫, সোমবার
  • / 30

কুলতলির মৈপীঠে 

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি : মুদিখানার দোকানে মুদিখানার জিনিসপত্রের সাথে বেআইনি ভাবে মদ বিক্রি চলছিল বহুদিন ধরে সুন্দরবনের কুলতলি বিধানসভার মৈপীঠ উপকূল থানার দেবীপুর শনির মোড়ে। এখানে বিশ্বজিত সাউ নামে এক মুদিখানার দোকানদার মুদিখানার জিনিসপত্রের সাথে বেআইনি ভাবে দেশী ও বিদেশি মদ বিক্রি করছিল।বারংবার এলাকার মানুষ মদ বিক্রি বন্ধ করতে বললে ও বন্ধ হয়নি। আর তাই মদ দোকান বন্ধ করতে এবারে এগিয়ে এল গ্রামের মহিলারা। মূলত তাদের মিলিত উদ্যোগে রবিবার রাতে ওই মুদিখানা দোকান থেকে পেটি পেটি মদের বোতল বাইরে বার করে ভেঙে নস্ট করে দেয় গ্রামের নারী শক্তি। আর সেই সময়ে ওই দোকানদারের সাথে বাগ বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে মহিলারা। উওেজনা চরম জায়গায় পৌছে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসে মৈপীঠ উপকূল থানার ওসি শান্তুনু বিশ্বাস সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ আসতে পুলিশের সাথে বাগ বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে নারী শক্তি। তাঁরা প্রথমদিকে ওই দোকানের মালিক বিশ্বজিত সাউকে থানায় নিয়ে যেতে পথ আটকায়। পরে পুলিশের সাথে দীর্ঘ সময় কথা কাটাকাটির পরে পুলিশ বিশ্বজিত সাউকে গ্রেফতার করে মৈপীঠ উপকূল থানায় নিয়ে যায়।

আরও পড়ুন: ডুয়ার্সের কাঠামবাড়ি জঙ্গলে আগুন, চাঞ্চল্য

ধৃতের দোকান থেকে পুলিশ বেশ কয়েক পেটি বেআইনি মদের বোতল বাজেয়াপ্তকরে।এ ব্যাপারে স্থানীয় মহিলারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ওই মুদিখানার দোকান থেকে মদ বিক্রি চলছিল। আর সেই মদ খেয়ে প্রতিদিন এলাকার পুরুষেরা রোজগারের সর্বস্ব দিয়ে পেটভরে মদ খেয়ে বাড়ি ফিরে বাড়ির মহিলাদের ওপর অত্যাচার করছিল।প্রশাসনের সাপোর্ট ছাড়া ওই মুদি খানার দোকানদার কিভাবে বেআইনিভাবে মদ বিক্রি করতে পারে।আমরা চাই মদ মুক্ত থাকুক এলাকা। নিরপেক্ষতা বজায় রাখুক প্রশাসন। আর ওই দোকানদারের উপযুক্ত শাস্তি হোক এটাই আমরা চাই। পুলিশ ধৃত বিশ্বজিত সাউকে সোমবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে। এব্যাপারে বারুইপুর এস ডি পি ও অতীশ বিশ্বাস বলেন, মৈপীঠের শনির মোড়ে একটি মুদিখানার দোকানে গোপনে বেআইনি ভাবে মদ বিক্রি চলছিল। স্থানীয় মহিলারা এসে প্রতিবাদ জানানোর পরে পুলিশ গিয়ে ওই দোকানদারকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে এবং বেআইনি মদের বোতল ও বেশ কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়।ধৃতকে সোমবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।অপরদিকে দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ধৃত বিশ্বজিত সাউ এর পরিবারের তরফে।পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্ত করে দেখছে।

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

মুদির দোকানে মদ বিক্রি বন্ধ করল গ্রামের মহিলারা

আপডেট : ৩১ মার্চ ২০২৫, সোমবার

কুলতলির মৈপীঠে 

উজ্জ্বল বন্দ্যোপাধ্যায়, কুলতলি : মুদিখানার দোকানে মুদিখানার জিনিসপত্রের সাথে বেআইনি ভাবে মদ বিক্রি চলছিল বহুদিন ধরে সুন্দরবনের কুলতলি বিধানসভার মৈপীঠ উপকূল থানার দেবীপুর শনির মোড়ে। এখানে বিশ্বজিত সাউ নামে এক মুদিখানার দোকানদার মুদিখানার জিনিসপত্রের সাথে বেআইনি ভাবে দেশী ও বিদেশি মদ বিক্রি করছিল।বারংবার এলাকার মানুষ মদ বিক্রি বন্ধ করতে বললে ও বন্ধ হয়নি। আর তাই মদ দোকান বন্ধ করতে এবারে এগিয়ে এল গ্রামের মহিলারা। মূলত তাদের মিলিত উদ্যোগে রবিবার রাতে ওই মুদিখানা দোকান থেকে পেটি পেটি মদের বোতল বাইরে বার করে ভেঙে নস্ট করে দেয় গ্রামের নারী শক্তি। আর সেই সময়ে ওই দোকানদারের সাথে বাগ বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে মহিলারা। উওেজনা চরম জায়গায় পৌছে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে চলে আসে মৈপীঠ উপকূল থানার ওসি শান্তুনু বিশ্বাস সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশ আসতে পুলিশের সাথে বাগ বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে নারী শক্তি। তাঁরা প্রথমদিকে ওই দোকানের মালিক বিশ্বজিত সাউকে থানায় নিয়ে যেতে পথ আটকায়। পরে পুলিশের সাথে দীর্ঘ সময় কথা কাটাকাটির পরে পুলিশ বিশ্বজিত সাউকে গ্রেফতার করে মৈপীঠ উপকূল থানায় নিয়ে যায়।

আরও পড়ুন: ডুয়ার্সের কাঠামবাড়ি জঙ্গলে আগুন, চাঞ্চল্য

ধৃতের দোকান থেকে পুলিশ বেশ কয়েক পেটি বেআইনি মদের বোতল বাজেয়াপ্তকরে।এ ব্যাপারে স্থানীয় মহিলারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ওই মুদিখানার দোকান থেকে মদ বিক্রি চলছিল। আর সেই মদ খেয়ে প্রতিদিন এলাকার পুরুষেরা রোজগারের সর্বস্ব দিয়ে পেটভরে মদ খেয়ে বাড়ি ফিরে বাড়ির মহিলাদের ওপর অত্যাচার করছিল।প্রশাসনের সাপোর্ট ছাড়া ওই মুদি খানার দোকানদার কিভাবে বেআইনিভাবে মদ বিক্রি করতে পারে।আমরা চাই মদ মুক্ত থাকুক এলাকা। নিরপেক্ষতা বজায় রাখুক প্রশাসন। আর ওই দোকানদারের উপযুক্ত শাস্তি হোক এটাই আমরা চাই। পুলিশ ধৃত বিশ্বজিত সাউকে সোমবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করে। এব্যাপারে বারুইপুর এস ডি পি ও অতীশ বিশ্বাস বলেন, মৈপীঠের শনির মোড়ে একটি মুদিখানার দোকানে গোপনে বেআইনি ভাবে মদ বিক্রি চলছিল। স্থানীয় মহিলারা এসে প্রতিবাদ জানানোর পরে পুলিশ গিয়ে ওই দোকানদারকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে এবং বেআইনি মদের বোতল ও বেশ কিছু বাজেয়াপ্ত করা হয়।ধৃতকে সোমবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।অপরদিকে দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ধৃত বিশ্বজিত সাউ এর পরিবারের তরফে।পুলিশ পুরো ঘটনার তদন্ত করে দেখছে।