পুবের কলম,ওয়েবডেস্ক: মমতার নির্দেশের পরই দেউচা-পাচামিতে ভিতপুজো। শুরু হল কাজও। বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মাঝেই মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে বীরভূমের দেউচা-পাচামিতে শুরু হয়ে গেল কাজ। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলাশাসক, পুলিশ সুপারের উপস্থিতিতে এদিন ভিতপুজোও হয় বলে খবর। এদিকে কাজের ক্ষেত্রে স্থানীয়দের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে খবর।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তর কয়লা ব্লক হতে চলেছে এই দেউচা-পাচামি। ইতিমধ্যেই মুহাম্মদবাজারের চাঁদা এলাকায় কাজ শুরু হল। বৃহস্পতিবারই জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশের পদস্থ আধিকারিকরা সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শনে যান। গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তাঁরা।
এই প্রেক্ষিতে সাংবাদিকদের দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলাশাসক জানান, পরিকাঠামো একেবারে প্রস্তুত। ব্যাসল্ট, ব্ল্যাকস্টোন উত্তোলন করতে পারবেন এলাকাবাসী। এই ক্ষেত্রে স্থানীয়দের আগ্রাধিকার বেশি। যদিও যথার্থ পুনর্বাসন, চাকরি ছাড়া কাজ শুরু করা যাবে না বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। কিন্তু জেলাশাসক সেই গুঞ্জন হাওয়ায় উড়িয়ে দিয়ে জানান, এখানকার মা-বোনরা খুব খুশি। তাঁদের ৯০ শতাংশ এখানে কাজের সুযোগ পাচ্ছেন। পুনর্বাসন বা চাকরি নিয়ে কারও কোনও অসন্তোষ নেই।
এমনকি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে অনেক স্থানীয় জানিয়েছেন, এই কাজ শুরু হওয়াতে তাঁরা খুব খুশি। সংশ্লিষ্ট ঘটনায় তাঁদের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হবে। সেখানে আরও স্কুল হবে, হাসপাতাল হবে। আরও মানুষ কাজ পাবেন।
প্রসঙ্গত, বুধবার, বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের সূচনা ভাষণে রাজ্যের শিল্প বিকাশের কথা বলতে গিয়ে বীরভূমে দেউচা-পাচামি কয়লাখনির নামোল্লেখ করেন তিনি। জানিয়েছিলেন, পরিকাঠামো একেবারে তৈরি। চাইলেই চাইলে বৃহস্পতিবার থেকেই সেখানে কাজ শুরু করা যেতে পারে। বিনিয়োগকারীদের কাছে তাঁর আহ্বান, আসুন, কাজ করুন। কথামাফিক এদিন সকাল থেকেই শুরু হয় কাজ।
বুধবার তিনি আরও জানিয়েছিলেন, দেউচা পাঁচামি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কোল ব্লক। ১হাজার ২০০ ৪০ মিলিয়ন টন কয়লা ও ২ হাজার ৬০০ মিলিয়ন টন ব্যাসল্ট রয়েছে মাটির নীচে। এই কয়লা তোলার জন্য ব্যাসল্ট উত্তোলন করতে হবে। অনেক দেশ এনিয়ে আগ্রহী। জমি অধিগ্রহণ, স্থানীয় মানুষ, আদিবাসী মানুষের সঙ্গে কথা বলা সব হয়েছে। তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজও চলছে। আমি স্থানীয়দের কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ।