১৭ মে ২০২৫, শনিবার, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

যুবক-যুবতীকে সামনেই সঙ্গমের নির্দেশ তান্ত্রিকের! যৌনাঙ্গে আঠা ঢেলে গলার নলি কেটে খুন

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২২, বুধবার
  • / 28

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক প্রতিশোধ স্পৃহা মানুষকে কতটা বিকৃত রুচি ও নৃশংস করে তোলে, সেই ঘটনার সাক্ষী থাকল রাজস্থানের উদয়পুর। বিবাহিত হওয়ার পরেও অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তান্ত্রিকের হাতে প্রাণ হারালেন এক যুবক-যুবতী। এর পরেই এলাকা ছাড়া হয় ওই তান্ত্রিক। পরে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

নিহত যুবক যুবতীর নাম রাহুল মিনা (৩০) এবং সোনু(২৮)। ৫৫ বছর বয়সী অভিযুক্ত তান্ত্রিকের নাম ভালেশ কুমার। গত ১৫ নভেম্বরের ঘটনা। ভালেশ ভাদাবি গুদা এলাকার ইচ্ছাপূর্না শেষনাগ ভাবজি মন্দিরে গত ৭-৮ বছর ধরে থাকত। সমস্যা সমাধানের আশায় তার কাছে আসত স্থানীয় মানুষ। সোনু এবং রাহুল দুজনেই পৃথক পৃথকভাবে বিবাহিত ছিলেন। তাদের দুই পরিবারের লোকেদের নিত্য আনাগোনা ছিল তান্ত্রিকের কাছে। এই আসা যাওয়া সূত্রে রাহুল আর সোনুর পরিচয়। অল্প দিনের মধ্যেই দুজনের মধ্যে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পুলিশের অনুমান, সোনুর প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েছিল ভালেশ।
এদিকে রাহুলের সঙ্গে তার স্ত্রী’য়ের বিভিন্ন কারণে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়।

আরও পড়ুন: মুসলিম ও কাশ্মীরিদের টার্গেট করবেন না, আর্জি পহেলগাঁও কাণ্ডে শহিদ বিনয়ের স্ত্রীর

এর পরেই সমস্যা সমাধানের জন্য তান্ত্রিক ভালেশের কাছে আসেন রাহুলের স্ত্রী। তখনই রাহুলের স্ত্রীকে এই অবৈধ সম্পর্কের কথা জানিয়ে দেয় ভালেশ। এরপরেই রাহুলের বাড়িতে অশান্তি চরমে ওঠে। ভালেশ তাঁর স্ত্রীকে সব কিছু জানিয়ে দিয়েছেন জানতে পারার পরেই সোনু, ভালেশকে শ্লীলতাহানির মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। তাতেই ভয় পেয়ে যায় ভালেশ। ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে এবং প্রতিশোধ নিতে দুজনকে খুন করার পরিকল্পনা করে।

আরও পড়ুন: কানাডায় ভারতীয় যুবককে ছুরি দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে খুন, আটক শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তি

পুলিশ জানায়, ভালেশ দুজনকে এমন ভাবেই খুন করার পরিকল্পনা করে, যাতে খুনের পর সকলে বিশ্বাস করবে রাহুল আর সোনুর মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক ছিল। সেই রকম ফন্দি আঁটে সে। সেই মতোই সে দোকান থেকে ৫০ টিউব সুপারগ্লু (ভয়ানক ক্ষমতাসম্পন্ন আঠা) কিনে আনে। তারপর সমস্ত আঠা একটা বোতলে ঢেলে রাখে ভালেশ।

আরও পড়ুন: রক্তাক্ত সিরিয়া, দু’দিনে মৃত হাজারেরও বেশি

রাহুল এবং সোনুকে নিকটবর্তী কেলাবাওয়াড়ির জঙ্গলে একটা ফাঁকা জায়গায় আসতে বলে সে। এরপর তাঁদের সমস্যা মিটিয়ে দেওয়ার উপায় হিসেবে তাদের সামনেই সঙ্গমে লিপ্ত হতে বাধ্য করে ভালেশ।

তান্ত্রিকের কথা মতো রাহুল ও সোনু সঙ্গমে লিপ্ত হয়। তখনই পরিকল্পনা মতো সঙ্গমরত অবস্থায় তাদের ওপরে বোতল থেকে সুপারগ্লু ঢেলে দেয় ভালেশ।

মিলনরত অবস্থায় আঠায় আটকে দুজনের মৃত্যু হলে সন্দেহের তালিকা থেকে রেহাই পাবে বলেই মনে করেছিল ভালেশ। কিন্তু আঠায় দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকার পর রাহুল এবং সোনু পরস্পরের থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করতে গিয়েই রাহুলের যৌনাঙ্গ তাঁর দেহ থেকে ছিঁড়ে যায়, সোনুরও গোপনাঙ্গ ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। সেই সময় গলার নলি কেটে দুজনকে খুন করে তান্ত্রিক। পুলিশ তদন্তে নেমে রাহুল ও সোনুর দেহ জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান অনার কিলিং।

পরে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ জানতে পারে ভালেশ এই ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবে যুক্ত। এরপরেই তাকে থানায় ডেকে এনে জিজ্ঞাসা করা শুরু করেন তদন্তকারীরা। জেরার মুখে ভেঙে পড়ে খুনের কথা স্বীকার করে ভালেশ। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনার পিছনে কোনও ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্ক আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Copyright © 2025 Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

যুবক-যুবতীকে সামনেই সঙ্গমের নির্দেশ তান্ত্রিকের! যৌনাঙ্গে আঠা ঢেলে গলার নলি কেটে খুন

আপডেট : ২৩ নভেম্বর ২০২২, বুধবার

পুবের কলম, ওয়েবডেস্ক প্রতিশোধ স্পৃহা মানুষকে কতটা বিকৃত রুচি ও নৃশংস করে তোলে, সেই ঘটনার সাক্ষী থাকল রাজস্থানের উদয়পুর। বিবাহিত হওয়ার পরেও অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে তান্ত্রিকের হাতে প্রাণ হারালেন এক যুবক-যুবতী। এর পরেই এলাকা ছাড়া হয় ওই তান্ত্রিক। পরে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

নিহত যুবক যুবতীর নাম রাহুল মিনা (৩০) এবং সোনু(২৮)। ৫৫ বছর বয়সী অভিযুক্ত তান্ত্রিকের নাম ভালেশ কুমার। গত ১৫ নভেম্বরের ঘটনা। ভালেশ ভাদাবি গুদা এলাকার ইচ্ছাপূর্না শেষনাগ ভাবজি মন্দিরে গত ৭-৮ বছর ধরে থাকত। সমস্যা সমাধানের আশায় তার কাছে আসত স্থানীয় মানুষ। সোনু এবং রাহুল দুজনেই পৃথক পৃথকভাবে বিবাহিত ছিলেন। তাদের দুই পরিবারের লোকেদের নিত্য আনাগোনা ছিল তান্ত্রিকের কাছে। এই আসা যাওয়া সূত্রে রাহুল আর সোনুর পরিচয়। অল্প দিনের মধ্যেই দুজনের মধ্যে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পুলিশের অনুমান, সোনুর প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েছিল ভালেশ।
এদিকে রাহুলের সঙ্গে তার স্ত্রী’য়ের বিভিন্ন কারণে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়।

আরও পড়ুন: মুসলিম ও কাশ্মীরিদের টার্গেট করবেন না, আর্জি পহেলগাঁও কাণ্ডে শহিদ বিনয়ের স্ত্রীর

এর পরেই সমস্যা সমাধানের জন্য তান্ত্রিক ভালেশের কাছে আসেন রাহুলের স্ত্রী। তখনই রাহুলের স্ত্রীকে এই অবৈধ সম্পর্কের কথা জানিয়ে দেয় ভালেশ। এরপরেই রাহুলের বাড়িতে অশান্তি চরমে ওঠে। ভালেশ তাঁর স্ত্রীকে সব কিছু জানিয়ে দিয়েছেন জানতে পারার পরেই সোনু, ভালেশকে শ্লীলতাহানির মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। তাতেই ভয় পেয়ে যায় ভালেশ। ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে এবং প্রতিশোধ নিতে দুজনকে খুন করার পরিকল্পনা করে।

আরও পড়ুন: কানাডায় ভারতীয় যুবককে ছুরি দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে খুন, আটক শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তি

পুলিশ জানায়, ভালেশ দুজনকে এমন ভাবেই খুন করার পরিকল্পনা করে, যাতে খুনের পর সকলে বিশ্বাস করবে রাহুল আর সোনুর মধ্যে অবৈধ সম্পর্ক ছিল। সেই রকম ফন্দি আঁটে সে। সেই মতোই সে দোকান থেকে ৫০ টিউব সুপারগ্লু (ভয়ানক ক্ষমতাসম্পন্ন আঠা) কিনে আনে। তারপর সমস্ত আঠা একটা বোতলে ঢেলে রাখে ভালেশ।

আরও পড়ুন: রক্তাক্ত সিরিয়া, দু’দিনে মৃত হাজারেরও বেশি

রাহুল এবং সোনুকে নিকটবর্তী কেলাবাওয়াড়ির জঙ্গলে একটা ফাঁকা জায়গায় আসতে বলে সে। এরপর তাঁদের সমস্যা মিটিয়ে দেওয়ার উপায় হিসেবে তাদের সামনেই সঙ্গমে লিপ্ত হতে বাধ্য করে ভালেশ।

তান্ত্রিকের কথা মতো রাহুল ও সোনু সঙ্গমে লিপ্ত হয়। তখনই পরিকল্পনা মতো সঙ্গমরত অবস্থায় তাদের ওপরে বোতল থেকে সুপারগ্লু ঢেলে দেয় ভালেশ।

মিলনরত অবস্থায় আঠায় আটকে দুজনের মৃত্যু হলে সন্দেহের তালিকা থেকে রেহাই পাবে বলেই মনে করেছিল ভালেশ। কিন্তু আঠায় দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকার পর রাহুল এবং সোনু পরস্পরের থেকে মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করতে গিয়েই রাহুলের যৌনাঙ্গ তাঁর দেহ থেকে ছিঁড়ে যায়, সোনুরও গোপনাঙ্গ ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়। সেই সময় গলার নলি কেটে দুজনকে খুন করে তান্ত্রিক। পুলিশ তদন্তে নেমে রাহুল ও সোনুর দেহ জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান অনার কিলিং।

পরে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ জানতে পারে ভালেশ এই ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবে যুক্ত। এরপরেই তাকে থানায় ডেকে এনে জিজ্ঞাসা করা শুরু করেন তদন্তকারীরা। জেরার মুখে ভেঙে পড়ে খুনের কথা স্বীকার করে ভালেশ। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনার পিছনে কোনও ত্রিকোণ প্রেমের সম্পর্ক আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।