১৯ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রেমের টানে বাংলাদেশ থেকে ভারতে তরুণী

বিপাশা চক্রবর্তী
  • আপডেট : ৩১ মে ২০২২, মঙ্গলবার
  • / 6

মুহাম্মদ ফিরোজম, সোনারপুর: সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয়েছিল দুজনের। তারপর দীর্ঘ কয়েক মাস মোবাইল ফোনেই দুজনের মধ্যে কথাবার্তা। প্রেমালাপ। ভিডিও কলেও দেখাশোনা হয়েছে পরস্পরের। আর তাতেই বেড়েছে প্রেমের টান। আর তাই নিজের মনের মানুষকে বিয়ে করতে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আসে যুবতী। সুন্দরবনের জঙ্গলে বাঘের ভয়কে উপেক্ষা করে নদী পেরিয়ে তারপর কালীঘাটে এসে বিয়ে করে। যদিও শেষ রক্ষা হল না। পুলিশের জালে ধরা পড়ে গেলেন সেই অনুপ্রবেশকারী তরুণী।

অভিযুক্ত তরুণীকে মঙ্গলবার আদালতে তোলা হয়েছে। তার নাম কৃষ্ণা মণ্ডল। বাড়ি বাংলাদেশের শ্যামনগরে। কয়েকমাস আগে বাংলাদেশের ওই তরুণীর সঙ্গে নরেন্দ্রপুর থানার রেনিয়ার বাসিন্দা অভিক মণ্ডলের পরিচয় হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ওই যুবক তাকে বিয়ে করবে প্রতিশ্রুতি দেয়। তাই প্রেমিকের ডাকে সাড়া দিয়ে রাতের অন্ধকারে নদী জঙ্গল পেরিয়ে চলে আসে ভারতে। তবে তার কাছে কোন বৈধ কাগজপত্র ছিল না। ছিল না কোনও পাসপোর্ট। এমনটাই জানানো হয়েছে নরেন্দ্রপুর পুলিশের তরফ থেকে।

নরেন্দ্রপুর থানার ওই তরুণী জানিয়েছেন,  সে মূলত বাংলাদেশের শ্যামনগর থেকে কালিন্দী নদী পেরিয়ে চলে আসে। আসার সময় তাকে বিএসএফ-এর হাতে ধরা পড়ার সম্ভাবনা থাকলেও রাতের বেলা ওই এলাকা ফাঁকা ছিল বুঝেই পালিয়ে আসে সে। সুন্দরবনের জঙ্গলের ভেতর দিয়ে এসে তারপর নদী পেরিয়ে যায়। শুধু তাই নয় উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে আসার পর ছেলেটি তাকে নিতে আসে।

কালীঘাটে গিয়ে বিয়েও করে নেয়। মাসখানেক ধরে অভিকের সঙ্গে সংসার করছিল সে। কিন্তু গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ রনিয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করে সোমবার রাতে। তবে এ বিষয়ে কিছু বলতে অস্বীকার করে রানিয়া’র বাসিন্দার অভিক মণ্ডল। বেআইনিভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করা সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে ওই তরুণীর বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শুধু তাই নয় সে সত্যিই সুন্দরবনের জঙ্গলের ভেতর দিয়ে প্রবেশ করে নদী পেরিয়ে এসেছে না বেআইনিভাবে তাকে কেউ অনুপ্রবেশ করতে সাহায্য করেছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

 

 

Copyright © Puber Kalom All rights reserved.| Developed by eTech Builder

প্রেমের টানে বাংলাদেশ থেকে ভারতে তরুণী

আপডেট : ৩১ মে ২০২২, মঙ্গলবার

মুহাম্মদ ফিরোজম, সোনারপুর: সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিচয় হয়েছিল দুজনের। তারপর দীর্ঘ কয়েক মাস মোবাইল ফোনেই দুজনের মধ্যে কথাবার্তা। প্রেমালাপ। ভিডিও কলেও দেখাশোনা হয়েছে পরস্পরের। আর তাতেই বেড়েছে প্রেমের টান। আর তাই নিজের মনের মানুষকে বিয়ে করতে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আসে যুবতী। সুন্দরবনের জঙ্গলে বাঘের ভয়কে উপেক্ষা করে নদী পেরিয়ে তারপর কালীঘাটে এসে বিয়ে করে। যদিও শেষ রক্ষা হল না। পুলিশের জালে ধরা পড়ে গেলেন সেই অনুপ্রবেশকারী তরুণী।

অভিযুক্ত তরুণীকে মঙ্গলবার আদালতে তোলা হয়েছে। তার নাম কৃষ্ণা মণ্ডল। বাড়ি বাংলাদেশের শ্যামনগরে। কয়েকমাস আগে বাংলাদেশের ওই তরুণীর সঙ্গে নরেন্দ্রপুর থানার রেনিয়ার বাসিন্দা অভিক মণ্ডলের পরিচয় হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। ওই যুবক তাকে বিয়ে করবে প্রতিশ্রুতি দেয়। তাই প্রেমিকের ডাকে সাড়া দিয়ে রাতের অন্ধকারে নদী জঙ্গল পেরিয়ে চলে আসে ভারতে। তবে তার কাছে কোন বৈধ কাগজপত্র ছিল না। ছিল না কোনও পাসপোর্ট। এমনটাই জানানো হয়েছে নরেন্দ্রপুর পুলিশের তরফ থেকে।

নরেন্দ্রপুর থানার ওই তরুণী জানিয়েছেন,  সে মূলত বাংলাদেশের শ্যামনগর থেকে কালিন্দী নদী পেরিয়ে চলে আসে। আসার সময় তাকে বিএসএফ-এর হাতে ধরা পড়ার সম্ভাবনা থাকলেও রাতের বেলা ওই এলাকা ফাঁকা ছিল বুঝেই পালিয়ে আসে সে। সুন্দরবনের জঙ্গলের ভেতর দিয়ে এসে তারপর নদী পেরিয়ে যায়। শুধু তাই নয় উত্তর ২৪ পরগনার হিঙ্গলগঞ্জে আসার পর ছেলেটি তাকে নিতে আসে।

কালীঘাটে গিয়ে বিয়েও করে নেয়। মাসখানেক ধরে অভিকের সঙ্গে সংসার করছিল সে। কিন্তু গোপন সূত্রে খবর পেয়ে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ রনিয়া থেকে তাকে গ্রেফতার করে সোমবার রাতে। তবে এ বিষয়ে কিছু বলতে অস্বীকার করে রানিয়া’র বাসিন্দার অভিক মণ্ডল। বেআইনিভাবে ভারতে অনুপ্রবেশ করা সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে ওই তরুণীর বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। শুধু তাই নয় সে সত্যিই সুন্দরবনের জঙ্গলের ভেতর দিয়ে প্রবেশ করে নদী পেরিয়ে এসেছে না বেআইনিভাবে তাকে কেউ অনুপ্রবেশ করতে সাহায্য করেছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।