পুবের কলম ওয়েবডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগামী দেড় মাসের মধ্যে সউদি আরব সফরের পরিকল্পনা করছেন। বৃহস্পতিবার তিনি এই মন্তব্য করেন। ট্রাম্প ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের বলেন, ‘তাদের সঙ্গে আমার দুর্দান্ত সম্পর্ক এবং তারা খুব ভালো। তারা সামরিক সরঞ্জাম এবং অন্যান্য জিনিস কেনার জন্য আমেরিকান কম্পানিগুলোতে প্রচুর অর্থ ব্যয় করবে।
এ দিকে সউদি যাচ্ছেন জেলেনস্কিও। বৃহস্পতিবার রাতের ভাষণে জেলেনস্কি জানিয়েছেন আগামী সপ্তাহে তিনি সউদি সফরে যাবেন। কিন্তু মার্কিন আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে থাকবেন না। নিজের প্রতিনিধিদের পাঠিয়ে দেবেন।
সউদি আরব ট্রাম্পের প্রথম সরকারি বিদেশ সফর কি না তা স্পষ্ট নয়, তবে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন এটি হতে পারে। ট্রাম্প আরও বলেছেন, তিনি সউদি আরবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও কোনো এক সময়ে দেখা করার আশা করছেন। তবে আসন্ন সফরেই তিনি তা করবেন কি না, তা বলেননি। শপথ গ্রহণের পর বিদেশি নেতার মধ্যে ট্রাম্প প্রথম ফোনে কথা বলেছিলেন, ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমানের (এমবিএস) সঙ্গে। সেই ফোনালাপের সময় এমবিএস ট্রাম্পকে বলেছিলেন, সউদি আরব আগামী চার বছরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৬০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে ইচ্ছুক।
ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ বলেছেন, যুদ্ধ অবসানে একটি শান্তি চুক্তির কাঠামো নিয়ে তিনি ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনা করবেন। আগামী সপ্তাহে সউদি আরবে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের একটি বৈঠকের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের ২৫ শতাংশ দেশে কমেছে নারী অধিকার: রাষ্ট্রসংঘ
হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, দ্বিতীয় দফায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি তার প্রথম বিদেশ সফরে সউদি আরবে যেতে পারেন। আগামী মাসের মাঝামাঝি সফরটি হতে পারে। এ সফরের মূল উদ্দেশ্য হবে যুক্তরাষ্ট্রে সউদির এক ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ সংক্রান্ত একটি চুক্তি করা।
প্রথম দফায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়ে ট্রাম্প ২০১৭ সালে তার প্রথম বিদেশ সফরে সউদি আরবে গিয়েছিলেন। তাঁর এ সফরে যুক্তরাষ্ট্রে সউদি আরবের ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। এ কথাও গতকাল উল্লেখ করেন ট্রাম্প। আরবে গিয়েছিলেন। তাঁর এ সফরে যুক্তরাষ্ট্রে সউদি আরবের ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। এ কথাও গতকাল উল্লেখ করেন ট্রাম্প।
জেলেনস্কি বলেছেন, ‘ইউক্রেন সব সময় শান্তিতে আগ্রহী। আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকেও বলেছি, দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইউক্রেন সব সময় কাজ করবে।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বৃহস্পতিবার জানান, সউদি আরবের যুবরাজ মুহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে বৈঠক করার জন্যই আগামী সোমবার সে-দেশে যাচ্ছেন তিনি। ম্যাসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে জেলেনস্কি লিখেছেন, ‘যুবরাজের সঙ্গে দেখা করার জন্য আগামী সপ্তাহে, সোমবার আমার সউদি আরব সফরের পরিকল্পনা রয়েছে।’